পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ew সবুজ পত্ৰ বৈশাখ, ১৩২৩ সেদিন রাত্রে গঙ্গার উপরে সেই দেববিদ্রোহের বিপুল আয়োজন দেখতে পেলুম। তাই মানুষের ক্লান্তির উপর সুরালোকের শান্তির আশীৰ্বাদ দেখা গেল না। মানুষ বলতে চাচ্চে আমিও দেবতার মত, আমার ক্লাস্তি নেই। কিন্তু সেটা মিথ্যা কথা- এইজন্যে সে চারিদিকের শান্তি নষ্ট করচে। এইজন্যে অন্ধকারকেও সে অশুচি করে তুলেচে। দিন আলোকের দ্বারা আবিল, তান্ধকারই পরম নিৰ্ম্মল। অন্ধকার রাত্রি সমুদ্রের মত,-ত অঞ্জনের মত কালো, কিন্তু তবু নিরঞ্জন। আর দিন নদীর মত,-ত কালো নয়, কিন্তু পঙ্কিল । রাত্রির সেই অতলস্পর্শ অন্ধকারকেও সেদিন সেই খিদিরপুরের জেটির উপর মলিন দেখলুম। মনে হল, দেবতা স্বয়ং মুখ মলিন করে’ রয়েচেন । A. এমনি খারাপ লেগেছিল এডেনের বন্দরে। সেখানে মানুষের হাতে বন্দী হয়ে সমুদ্রও কলুষিত । জলের উপর তেল ভাসচে, মানুষের আবৰ্জনাকে স্বয়ং সমুদ্রও বিলুপ্ত করতে পারচে না। সেই রাত্রে জাহাজের ডেকের উপর শুয়ে অসীম রাত্রিকেও যখন কলঙ্কিত দেখলুম, তখন মনে হল একদিন ইন্দ্ৰলোক দানবের আক্রমণে পীড়িত হয়ে ব্ৰহ্মার কাছে নালিশ জানিয়েছিলেন- আজ মানবের অত্যাচার থেকে কোন রুদ্র দেবতাদের রক্ষা করবেন ? ( R ) জাহাজ ছেড়ে দিলে। মধুর বহিছে বায়ু ভেসে চলি রঙ্গে। DD Y DDD S DBDDBDDBD BD DuD DDD DD SS S DDDS চলার একটি বিশেষ দৃষ্টি আছে। যখন হেঁটে চলি তখন কোনো অখণ্ড ছবি চােখে পড়ে না। ভেসে চলার মধ্যে দুই বিরোধের পূর্ণ সামঞ্জস্য হয়েচে-বসেও আছি, চলচিও। সেই জন্যে চলার কাজ হচ্চে, অথচ