পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৪২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

છ૨૨ সবুজ পত্ৰ RF3, Yvoro যে শিক্ষার কোনরূপ ফল ফলাটাই এদের মতে দোষ, কেননা সে ফল নতুন। নবশিক্ষার প্রভাবে মানুষের মনে যে নুতন ভাবের সৃষ্টি হবে এ ত ধরা কথা । সুতরাং এই নূতনত্বটাই যদি দোষের হয় তাহলে, শিক্ষার পাট উঠিয়ে দেওয়াই কৰ্ত্তব্য। স্কুল কলেজের দুয়োরে চাবি দেওয়াটা অবশ্য শিক্ষার পথ পরিষ্কার করা নয়। এরা তাই স্কুল কলেজ একেবারে বন্ধ করবার পক্ষপাতী নন। এরা বলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সদর ফটক বন্ধ করে খিড়কির দরজা খুলে রাখা হোক, কেননা আজকাল সেখানে যত লোক ঢেকে তত বেরোয় না এবং যত লোক বেরোয় তত বেরোনাে উচিত নয়। 'বিদ্যার্থীর সংখ্যা কমিয়ে দেওয়াটা যারা শিক্ষা বিস্তারের সদুপায় মনে করেন, তাদের কথার কি জবাব দেওয়া যাবে ভেবে পাওয়া যায় না । সুতরাং এ শ্রেণীর সমালোচকদের কলরব শিক্ষক এবং ছাত্র উভয়েই উপেক্ষা করতে বাধ্য । এদের ধারণা যে শিক্ষার উন্নতি সাধনের একমাত্র উপায় হচ্ছে তার বিস্তৃতি কমিয়ে আনা । উচ্চশিক্ষা লাভ করবার শক্তি যে সকলের নেই-এ কথা সত্য । কিন্তু এ ক্ষেত্রেও বহুলোককে সুযোগ না দিলে যোগ্যতমের উদ্বর্তনের আশা করা যায় না। এরা ভুলে যান যে, যথার্থ শিক্ষিত ব্যক্তি স্বশিক্ষিত ; স্কুল কলেজ শুধু মানুষকে নিজগুণে নিজ-চেষ্টায় শিক্ষিত হয়ে ওঠবার সুযোগ দেয় এবং সাহায্য করে-এর বেশী আর কিছু নয়। যে জাতি এই সুযোগ যত বেশী পায় সে জাতি তত বেশী সুশিক্ষিত। অনেকের মতে আবার এ শিক্ষা আচল, কেননা তা নিস্ফল । এর বেশ স্পষ্ট দু’শ্রেণীতে বিভক্ত। এদের এক দলের মতে আমাদের বর্তমান শিক্ষা যথেষ্ট অর্থকরী নয়। এর চান-বিশ্ব