পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা আমাদের শিক্ষা VIR NO বিদ্যালয়কে বৈশ্য-বিদ্যালয়ে পরিণত করতে। এ শ্রেণীর লোক শুধু ভারতবর্ষে নয় সকল দেশেই আছে। এদের আর এক দলের মত ঠিক এর বিপরীত-এদের sèT KCG Knowledge for knowledge's sake-অর্থাৎ এদের আদর্শ হচ্ছে সেই বিশ্ব-বিদ্যালয় যার শিক্ষার প্রসাদে মানুষ বৈশ্য নয় নিঃস্ব হবে। বলা বাহুল্য এ দুই মত সমান সত্য হতে পারে না কেননা এদের পরস্পরের মনের ভিতর আকাশ পাতাল প্ৰভেদ আছে। এ দুয়ের ভিতর যদি একটি গ্রাহ করতে হয়, তাহলে আমরা বরং শেষোক্ত মতে সায় দেব। কেননা, মনকে ঘুম পাড়িয়ে দেহকে কৰ্ম্মক্ষমত করা আর যে দেশেরই আদর্শ হোক ভারতবর্ষের হতে পারে না। আমরা যে প্রাচীন সভ্যতার উত্তরধিকারী, সে সভ্যতার যদি কিছু মাহাত্ম্য থাকে ত সে এই গুণে যে, তার কাছে বাইরের চাইতে ভিতরের মূল্য ঢের বেশী ছিল। কিন্তু • একটি ভেবে দেখলেই দেখা যায় যে এ উভয় সঙ্কট আসলে কাল্পনিক । এরা উভয়েই নিতান্ত একদেশদশী । সমাজ নিষ্কৰ্ম্ম জ্ঞানীও চায় নাঅজ্ঞ কৰ্ম্মী ও চায় না। সমাজ চায় যে সামাজিক মানব একাধারে জ্ঞানী ও কৰ্ম্মী হবে। এবং সেই হচ্ছে আদর্শ বিদ্যালয়—যা মানুষকে - একসঙ্গে কিছু হতে এবং কিছু করতে শেখাবে। এই সোজা কথাটা মানুষকে বারবার শোনানো দরকার-কেননা, আমরা হয় সাংসারিক নয় মানসিক অভু্যুদয়ের লোভে দিনে দশবার তা ভুলে যাই। সুতরাং জ্ঞানমাৰ্গ ও কৰ্ম্মমার্গের সমালোচকদের কথা সম্পূৰ্ণ গ্ৰাহা না হলেও সম্পূৰ্ণ উপেক্ষণীয় নয়, কেননা এদের দুজনের কথার ভিতর আংশিক भऊा उाgछ । কিন্তু আমরা-যারা নবশিক্ষাকে বিফল বলে অবজ্ঞা করিনে এবং ከሦ\©