পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৫৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

भिन्नाइ व्जक्र] 29 Z. ) )- শিক্ষাসম্বন্ধে এমন কতকগুলি তত্ত্বকথা প্রচলিত আছে, যাহার উদ্দেশ্য-কিছুই না বলিয়া, সমগ্ৰ বিষয়টার একটা সর্ববাদীসম্মত সুগভীর মীমাংসা করা। এই সকল তত্ত্ববাক্যের মধ্যে একটী এই যে, শিক্ষার উদ্দেশ্য যথার্থ মানুষ তৈয়ারি করা । মানব-শিশু যখন সচরাচর মানুষের শরীর ও মন লইয়াই ভূমিষ্ঠ হয়, - এবং যেটী না হয়, শিক্ষার দ্বারা তাহাকে যথার্থ মানুষ করার চেষ্টা স্বয়ং বৃহস্পতির পক্ষেও নিফল,-তখন যথার্থ মানুষ কাহাকে বলে জিজ্ঞাসা করিলে তত্ত্বজ্ঞেরা অবশ্য উত্তরে বলিবেন —আদর্শ মানবকে, অর্থাৎ অসাধারণ মনুস্যকে । আদর্শ মানব যে কি প্রকার জীব, সে সম্বন্ধে কাহারও সুস্পষ্ট বঁ অস্পষ্ট কোনও রূপ ধারণা না থাকাতে, জিনিসটা যে অতিশয় কাম্য এবং শিক্ষার দ্বারা অবশ্য লভ্য, এ বিষয়ে কাহারও কোনও দ্বিধা উপস্থিত হয় না ; এবং একটা দুরূহ প্রশ্নের সহজ সমাধানে মনও প্ৰসন্ন হইয়া উঠে । ইহার পরেও যদি কেহ জানিতে চায় আদৰ্শমনুষ্য কাহাকে বলে, তবে অধিকাংশ বুদ্ধিমান ব্যক্তি নিশ্চয়ই তাহার সহিত বাক্যালাপ বন্ধ করিবেন । তবে কোনও কোন ও তত্ত্বজ্ঞ হয়তো অনুগ্ৰহ করিয়া বলিবেন যে, আদর্শ মনুষ্য সেই, যাহার শারীরিক, মানসিক, নৈতিক ও আধ্যাত্মিক সকল শক্তি বা বৃত্তিই সম্যক অনুশীলিত হইয়াছে ও পুর্ণরূপে স্মৃৰ্ত্তিলাভ করিয়াছে; এবং শিক্ষার উদ্দেশ্য এই শ্রেণীর মানুষ গড়িয়া তোলা। এখন কথা এই যে, প্রথমত এহেন