পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७१ दर्श, नद्मभ ग:९९ জাপান-যাত্রীর পত্ৰ ܣܛ তাকাতে তাকাতে চলেচি, মানবের কলাস্যষ্টি এবং সাহিত্যসৃষ্টির দিকেও আমি তেমনি চিত্তদৃষ্টি দিয়ে তাকাতে তাকাতে চলেচি। আমার চোখের সামনে একদিকে ৰূপের ধারা, আমার মনের সামনে আর একদিকে চিন্তার ধারা। এই চিন্তার ধারা প্ৰধানতঃ লজিকের দ্বারা গাথা নয়, এর গ্রন্থনিসূত্র মুখ্যত আমি। সেই জন্যে আমি কেয়ারমাত্র করিনে সাহিত্য সম্বন্ধে আমার এই রচনাটিকে লোকে পাক কথা বলে গ্ৰহণ করবে কি না । বিশ্বলোকে এবং চিত্তলোকে “আমি দেখচি” এই BDDYz BDBmkD BBB DDD B KK BDDOS উপনিষদে আছে, এক-ডালে দুই পাখী আছে, তার মধ্যে এক পার্থী খাচ্ছে, আর-এক পাখী দেখচে । যে পাখী দেখাচে তারি। আনন্দ বড় আনন্দ, কেন না, তার সে বিশুদ্ধ আনন্দ, মুক্ত আনন্দ। মানুষের নিজের মধ্যেই এই দুই পাখী আছে। এক পাখীর প্রয়োজন আছে, শর-এক পাখীর প্রয়োজন নেই। এক পাখী ভোগ করে, আর-এক *াপী দেখে। যে-পাখী ভোগ করে সে নিৰ্ম্মাণ করে, যে-পাখী দেখে সে স্বযষ্টি করে। নিৰ্ম্মাণ করা মানে মাপে তৈরি করা ; অর্থাৎ যেটা তৈরি করা হচ্ছে সেইটেই চরম নয়, সেইটেকে অন্য কিছুর মাপে তৈরি করা,--নিজের প্রয়োজনের মাপে বা অন্যের প্রয়োজনের মাপে। আর স্বষ্টি করা অন্য কোনো-কিছুর মাপের অপেক্ষা করে না, সে হচ্চে নিজেকে সজ্জন করা, নিজেকেই প্ৰকাশ করা। এই জন্য ভোগী পাখী যে সমস্ত উপকরণ নিয়ে কাজ করচে তা প্ৰধানত বাইরের উপকরণ, আর দ্রষ্টা পাখীর উপকরণ হচ্ছে। আমি পদার্থ। এই আমির প্ৰকাশই সাহিতা, আর্ট। তার মধ্যে কোনো দায়ই নেই, কৰ্ত্তব্যের ሻ፲፪€ aii !