পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৭৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা Cढा-मिका やや2) দু'একটির বুদ্ধির যতই ধার থাকুনা কেন-জন-সংঘের সহানুভূতির ভার তার পৈছনে না থাকাতে, তাতে মোটেই কিছু কাটছে না! জনসাধারণকে বাদ দিয়ে জাতীয় জীবনের উন্নতি সাধনের প্রয়াস, আকাশে রাজপুরী নিৰ্ম্মাণের চেষ্টার সামিল। এরকম ব্যাপার একমাত্র রূপকথার রাজ্যেই ঘটা সম্ভব। সুতরাং জাতি-গঠনের সুব্যবস্থা করবার জন্য জনগণের চিরাগত অবস্থার প্রতি দৃষ্টিপাত করা প্রয়োজন। প্রজা চিরদিনই আমাদের দেশে রাজার সম্পত্তি বলে গণ্য হ’য়ে এসেছে। আর, ত’তে করেই, পাশার দানের সাথে তাদের রাজার বদল হয়েছে, রাজকন্যের বিবাহে তারা যৌতুক গিয়েছে, ব্ৰাহ্মণের দানে তারা দক্ষিণে হয়েছে। তাদের যে একটা স্বতন্ত্র শক্তি, সমবেত সত্তা এবং মহত্তর সার্থকতা আছে, সে কথা ত’দের কেউ বলে নি । জাতীয় শক্তির गाथन, डांऊँीश डाङ्गान टtद्रश्न, জাতীয় স্বার্থের সমীকরণ আমাদের দেশে কখনো হয় নি। আমাদের পূর্বপুরুষগণ আমাদের ঐহিক আর পারলৌকিক স্বাৰ্থ এবং পরমার্থের খিচুড়ি পাকিয়ে, তার পরিাবেশনের ভার স্বগের তেত্ৰিশ কোটির হাতে দিয়েই দিব্যি নিশ্চিন্ত ছিলেন । ফলে, দেশের জাতীয় আত্ম-শক্তি-বোধ জাগ্ৰত হ’তে পারে নি। অদৃষ্টের দোষ আর দেবতার দোহাই দিয়েই আমরা বরাবর আসছি। অবস্থার উৎপীড়ন নিতান্ত অসহনীয় হ’লে-“ঘোর কলি” বলে’ বক্ষমন্থন করে” দীর্ঘনিশ্বাস ছেড়েছি! বসন্তে গ্রামকে গ্রাম উজাড় হয়ে যাচ্ছে—আমরা চাঁদ করে' করছি শীতলাদেবীর পূজা ! কলেরায় পল্পী মহাশ্মশানে পরিণত হতে চলেছে—আমরা ঘটা করে করছি শ্মশান-কালীর পুজা ! সুজলা সুফলা শস্য-শ্যামলা এই আমাদের দেশ;