পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ut সবুজ পত্ৰ ফাস্তুন, ১৩২৩ এর “পরে বছরের পর বছর দুভিক্ষের আফ্রেশ বেড়ে চলেছে --নিতান্ত নিরুপায় পল্লী-বৃদ্ধের পরম নিশ্চিন্ত ভাবে ঘরের দাবায় বসে’ কন্ধেয় ফু দিতে দিতে আলোচনা করছে—তাদের কৈশোর-জীবনে ধান BBB BDDSS BB BBBB BDD BDSBD D DDD DLDL DDDDD ঘন আসে-সে সব তাদের ভাববার বিষয়ই নয়! অমুক সালের ভূমিকম্প বা গতসনের ঝড়ের মতন এসবেরও কোন “কেন” নেই।-- আর কিনারা ত দুরের কথা । জনসাধারণ আশৈশব নিজ নিজ পরিবারবর্গকে প্ৰদক্ষিণ করেই তাদের জীবনযাত্ৰা শেষ করছে। পারিবারিক গণ্ডির বাইরেও যে তাদের আদান-প্রদানের যথেষ্ট অবসর আছে, ধ্যানধারণার প্রচুর আয়োজন এবং প্রয়োজন রয়েছে- সে কথা কিছুতেই তাদের মাথায় ঢুকছে না! অনেক পরিবর্তনের ‘স্বপূটা তাদের মাথার উপর দিয়ে বয়ে গিয়েছে, অনেক উৎপীড়নের কষাঘাত তারা পিঠের পরে সয়েছে ; কিন্তু কুস্তকর্ণের ঘুম তাদের ভাঙ্গাবার এখনও ঢের দেরী ! কুস্তকণের প্রকৃতিটা যে আমন ধারা নিদ্ৰালু হয়ে পড়েছিল-সে অনেকটাই তার গায়ের জোরে, আর বাকীটা তার দাদার জোরে!:-- আর, আমাদের দেশের প্রকৃতিপুঞ্জের যে তন্দ্ৰালু স্বভাব, তার সমস্তটাই-দাদার জোরে ! সমাজের বড় বড় দায়িত্বগুলো যদি নিঃশেষে ব্ৰাহ্মণ আর ক্ষত্ৰিয়ের স্বন্ধে ন্যস্ত না থাকৃত ; আর তঁরা যদি সুদীর্ঘকাল ধরে তঁদের এই নেতৃত্ব-ভার বহন করবার সুযোগ না পেতেন; তাহলে আমাদের জনসাধারণের এমন-ধারা লুপ্তজ্ঞান এবং সুপ্তিমশ্ন হবার অবসর বোধহয়