পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৮৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা রূপের কথা ووا R( এই বিদেশীরাই আমাদের সংজ্ঞান করে দিয়েছে যে, রূপ সম্বন্ধে আমরা চোখ থাকতেও কাণ । আমাদের রূপ জ্ঞান যে নেই-কিম্বা যদি থাকে। ত অতি কম-সে বিষয়ে বোধহয় কোনও মতভেদ নেই । কেননা এ জ্ঞানের অভাবটা আমরা জাতীয় মনের দৈন্য বলে’ মনে করি নে। বরং সত্যকথা বলতে গেলে-আমাদের বিশ্বাস যে, এই রূপান্ধতাটাই আমাদের জাতীয় চরিত্রের মহত্বের পরিচয় দেয়। রূপ ত একটা বাইরের জিনিস-শুধু তাই নয়, বাহাবস্তুর ও বাইরের জিনিস ; ও জিনিসকে যারা উপেক্ষা, এমন কি অবজ্ঞা করতে না শিখেছে, তারা আধ্যাত্মিকতার সন্ধান জানে না। আর আমরা আর কিছু হই আর না হই—বালবৃদ্ধবনিতা সকলেই যে আধ্যাত্মিক,-সে কথা যে অস্বীকার করবে, সে নিশ্চয়ই স্বদেশ এবং স্বজাতিদ্রোহী। ( ७ ) রূপ জিনিসটাকে যারা একটা পাপ মনে করেন, তঁদের মতে অবশ্য রূপের প্রশ্রয় দেওয়ার অর্থ পাপের প্রশ্ৰয় দেওয়া । কিন্তু দলে পাতলা হলেও, পৃথিবীতে এমন সব লোক আছে, যারা রূপকে মান্য করে, শ্রদ্ধা করে, এমন কি পূজা করতেও প্রস্তুত—অথচ নিজেদের মহাপাপী মনে করে না। এই রূপভক্তের দল অবশ্য স্বদেশীর কাছে কৈফিয়ৎ দিতে বাধ্য,-অর্থাৎ প্ৰমাণ প্রয়োগ সহকারে রূপের স্বত্বসাব্যস্ত করতে বাধ্য। আপশোষের কথা এই যে, যে সত্য সকলের প্রত্যক্ষ হওয়া উচিত, সেই সত্য এদেশে প্রমাণ করতে হয়, --অর্থাৎ একটা সহজ কথা বলতে গেলে, আমাদের ন্যায়-অন্যায়ের তর্কস্রোতের উজান ঠেলে CसCछ इग्न ।