পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৬৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

03. R&, cq<staat Meer 歪び外部 マリ々f DD KED DBBDBT KEEYSJeOB ਸਰੋ মুটি \3 EGIs oil থাকলে সমাজের সৃষ্টিষ্ট ক্ষয় না, রক্ষা তওয়া ত দূরের কথা। ও জ্ঞান বিষয়বুদ্ধির উত্তমাঙ্গ হলেও, একটা অঙ্গমাত্র। তারপর আসে সত্যের জ্ঞান । এ জ্ঞান শিল-জ্ঞানের চাইতে ঢের সূক্ষনজ্ঞান, এবং এ জ্ঞান আংশিকভাবে বৈষয়িক, অতএব জীবনের সহায়—এবং আংশিকভাবে তার বহির্ভূত অতএব মনের সম্পদ। সব শেষে আসে রূপজ্ঞান, কেননা এ জ্ঞান অতিসূক্ষ এবং ংসারিক হিসেবে অকেজো । রূপজ্ঞানের প্রসাদে মানুষের মনের পরমায়ু বেড়ে যায়, দেহের নয়। সুনীতি সভ্য সমাজের গোড়ার কথা হলেও, সুরুচি তার শেষ কথা। শিব সমাজের ভিত্তি, আর সুন্দর তার অভ্ৰভেদী চুড়া । ) অবশ্য হাবাৰ্ট স্পেনসর বলেছেন যে, মানুষের রূপস্তান আসে আগে, এবং সত্যজ্ঞান তার পরে। তার কারণ, যে জ্ঞান তার জন্মায় নি, তিনি মনে করতেন। সে জ্ঞান বাতিল হয়ে গিয়েছে। সত্যু-কথা। এই যে, মানবসমাজের পক্ষে রূপজ্ঞান লাভ করাই সাধনাসাপেক্ষ,-খোয়ানো সহজ । আমাদের পূর্বপুরুষদের সাধনার সেই সঞ্চিত ধন আমরা অবহেলাক্রমে হারিয়ে, বসেছি । বিলেতে সভ্যতার কেজো অংশের সংস্পর্শে আমাদের মনের ভিত টলুক আর না। টলুক, তার চুড়া ভেঙ্গে পড়েছে। এ বিষয়ে বৌদ্ধদৰ্শনের মত প্ৰণিধানযোগ্য। বৌদ্ধ দার্শনিকের কল্পনা করেন যে, এ জগতে নানা লোক আছে। সব নীচে কামলোক, তার উপরে রূপলোক, তার উপরে ধ্যানলোক ইত্যাদি। আমার ধারণা, আমরা সব জন্মতঃ কামলোকের অধিবাসী; মৃতরাং রূপলোকে যাওয়ার অর্থ আত্মার পক্ষে ওঠা, নাম নয়। ] N 0