পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Μ3υ ή চৈত্র, ১৩২৩ وا و এ যুগের সমালোচনা অনধিকারীর হাতে যে কতদূর অদ্ভুত আকুর ধারণ করতে পারে, তার উদাহরণস্বরূপ আমি দুটি সমালোচকের দুটি কথার উল্লেখ করতে চাই। এদের একজন প্ৰস্তাব করেছেন যে, যে-কোন উপায়ে হোক, সবুজ পত্রের লেখা বন্ধ করা। কৰ্ত্তব্য ; আর এক জন প্ৰস্তাব করেছেন যে, এ পত্রের ঐ ভাবে পাঠ বন্ধ করা কীৰ্ত্তব্য। বলা বাহুল্য এই সোদ্বেগ প্ৰস্তাবের মূলে মানসিক স্নায়ু-দৌর্বল্য ছাড়া আর কিছুই নেই। এরা ভুলে যান যে, এরকম কথা বলায় প্রকারান্তরে সবুজ পত্রের প্রশংসাই করা হয়, কেননা আমরা ধরে নিতে পারি যে, এ শ্রেণীর সমালোচকদের ধারণা এই যে, সবুজ পত্রের বাণীর অন্তরে শক্তি আছে, এবং সম্ভবতঃ সে শক্তি মোহিনী শক্তি । নচেৎ তারা श् श्रांभांप्द्र মুখে, নয় নিজেদের কাণে হাত দেবার প্রস্তাব করতেন না। কিন্তু এই প্ৰস্তাব শুনে হাসি পেলেও-ব্যাপারটা আসলে হাসির জিনিস নয় ; কেননা এই সূত্রেই আমরা আমাদের ভদ্রসমাজের এক দলের প্রকৃত মনোভাবের সন্ধান পাই। সন্দি লাগাবার ভয়ে ঘরের দরজা জানালা এটে বসে থাকাটা যে - দেহের পক্ষে স্বাস্থ্যকর কিম্বা বলকারক নয়, এ কথা সকলেই জানেন । মনের বদ্ধঘরের রুদ্ধ বায়ুও দূষিত বায়ু, তবুও যে অনেকে বাইরের হাওয়া । আলোর সংস্পর্শে আসতে চান না তার কারণ, তারা স্বাস্থ্য ও বল এ দুয়ের কোনটিই চান না,-চান। শুধু মনের ঘরের কোণে গা গড়িয়ে আরামে দিন কাটাতে। শক্তির গতি বহিমুখী, সুতরাং মনের শক্তি সঞ্চয় করাতে মনের আরামের ব্যাঘাৎ ঘাঁটুতে পারে। পৃথিবীতে আরাম যদি কোথাও থাকে ত সে ঘরের কোণে। নূতন সত্যের সঙ্গে পরিচয় লাভ করতে হলে, মনকে জাগতে হবে উঠতে হবে চলতে হবে,