পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা गञ्itद्ध दिन . ۹ واهه এবং এ ব্যাপারগুলোর একটিও আরামজনক নয়। সুতরাং যে ব্যক্তি আমাদের মনকে ঠেলা মেরে জাগাতে চেষ্টা করে, তার উপর চোখ রাঙানো আমাদের পক্ষে নিতান্তই স্বাভাবিক। এ অবস্থায় আমরা আত্মসংযম ঘুমের ঘোরেই হারিয়ে বসি, এবং তখন আমাদের মুখ থেকে বাক্যশ্ৰাব। আপনিই হয়। আমাদের সাহিত্যের সকল অসঙ্গত বাক্যের এই হচ্ছে মূল কারণ। কতকটা স্বভাবের এবং কতকটা অবস্থার গুণেই আমরা এতটা আরামভক্ত হয়ে পড়েছি। আমাদের জাতীয় জীবনের কোনও বড় কৰ্ত্তব্য নেই। অপারে অস্ত্রশস্ত্র ধারণ করে আমাদের দেশ রক্ষা করে, আমরা সেই সুযোগে ঘরে বসে শাস্ত্রচর্চা কৰুে জাত বাঁচাই । ইউরোপ বই লেখে, আমরা তা মুখস্থ করে পাশ হই। মানচেষ্টার কাপড় বোনে, আমরা পরি,—জাপান পাঠায় দিয়াশলাই, তা দিয়ে আমরা ধরাই চুরুট। ইংরেজ হাতে ধরে রাজ্য চালায়, আমরা মুখস্থ ইংরেজিতে তার টিপনি কাটি। এ বন্দোবস্ত যদি আরামের না হয়, তাহলে আর কি হতে পারে ? কিন্তু সকলেরি বােঝা উচিত যে, এ পৃথিবীটে যখন অপর সকলের কৰ্ম্মক্ষেত্র, তখন তা একলা আমাদের শয়নমন্দির হতে পারে না। ভগবান মানুষকে পা দিয়েছেন চলবার জন্য, হাত দিয়েS BD DDDDB BBS DB BBBD DBDDDDB BDS DDB LBBD DBBDS বাসবার জন্য-এবং অক্লান্ত চেষ্টার দ্বারা জ্ঞান কৰ্ম্ম ও শ্ৰীতির প্রসার সাধন করাতেই মানব-জীবনের সার্থকতা ও চরিতার্থতা। যে জাতি অল্পেতে সন্তুষ্ট, সে জাতি যথার্থ আনন্দের সাক্ষাৎ কখনই পাবে না। উপনিষদের এ কথা পুরাতন হলেও, সনাতন সত্য। এ সত্য যে অন্তরে অন্তরে অনুভব করেছে, তার মনের ভিতর আরাম নামক বস্তু থাকতেই