পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭০৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

もbrbア সবুজ পত্র চৈত্র, ১৩২৩ পারে না, এবং সে অপরকেও সেই সত্য অনুভব করাতে চেষ্টা করবে। তার জন্য সে শত লাঞ্ছনাগঞ্জনাও সহ্য করতে প্ৰস্তুত। মনোরাজ্যের বালবৃদ্ধবনিতার কলরবে সে তার কৰ্ত্তব্যকৰ্ম্ম থেকে বিচলিত হবে না। রাজনীতির ক্ষেত্রে আমরা নিত্যনুতন অধিকার চাই - কিন্তু তার চাইতে যা ঢের বড় জিনিস, অর্থাৎ প্ৰতি লোকের জাতীয়জীবনের দায়িত্বজ্ঞান-সে বিষয়ে আমরা সম্পূর্ণ উদাসীন। এবং এই ঔদাসীন্যবশতঃই আমরা আমাদের জীবনকে মনের অধীন করতে চাই নে-চাই শুধু মনকে জীবনের অধীন করতে। এবং যেহেতু সে জীবনের পরিসরও অতি ক্ষুদ্র, সে কারণ সেই ক্ষুদ্রত্বের মধ্যে আবদ্ধ थक अभद्ध *igय अंब्रिाशनक হলেও, শ্ৰেয়স্কর नश । भन्न उीवcनद्म এক্রাট, আজ্ঞা দাস নয়। এ দুয়ের এই নৈসর্গিক সম্বন্ধটা উল্টে ফেলাতেই মানুষে তার মনুষ্যত্বকে খর্ব করে, নষ্ট করে। মানুষে যদি আপাততঃ সুবিধার লোভে তার বিচার বুদ্ধিকে ঘুম পাড়িয়ে রাখে তাহলে সে বুদ্ধি অনেক সুখস্বপ্ন, হয়ত অনেক শুভম্বপ্নও দেখে কিন্তু সে স্বপ্ন একদিন না একদিন ভাঙ্গতে বাধ্য। আমার বিশ্বাস যে এই স্বপ্ন দেখবার প্রবৃত্তিটা আমাদের মধ্যে এ যুগে অযথা রকম বেড়ে । চলেছে। সবুজ পত্রের অপরাধ এই যে, তা আমাদের শিক্ষিত সম্প্রদায়ের দিবানিদ্রার ব্যাঘাৎ ঘটায়। আমরা সকলকে মনের চোখ । মেলতে বলি, কেননা আমরা জানি, যে সে চোখ মেললে সকলেই নিজের চোখেই দেখতে পাবেন যে আমাদের ভিতর বাইরের দৈন্য কত বেশী। এর উত্তরে অনেকে বলতে পারেন যে, তোমার চোখে যা দৈন্য ঠেকে, আমাদের চোখে তা ঐশ্বৰ্য্য। এরূপ মতভেদ হওয়া শুধু সম্ভব নয়, নিতান্তই স্বাভাবিক। সেই জন্যই ত বিচারের আবশ্যক,