পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

७ वर्ष, चांपर्थ न९था अभिगम एवश्कांद्र yQA এক সেই অহঙ্কার ছাড়া আমাদের আর ত কিছুই নেই। তবু এই স্বভাবের উপর উঠতে হবে, কেননা স্বভাবের নানাবিধ ক্রটিই আমাদের এই বৰ্ত্তমান অবস্থায় দাড় করিয়েছে । আমাদের দেশের জনসাধারণের মন এমন হয়ে উঠেছে যে, দেশ সম্বন্ধে একটি সত্য কথা বলবার জো নেই;- যদি কেউ বলে, তবে সে দেশদ্রোহী ত বটেই, সম্ভবতঃ যবনও হতে পারে । আমরা প্ৰমাণ করেছি যে, এ দেশে সেকালে দ্বিচক্রযান, ত্রিচক্র্যান, ব্যোমযান প্ৰভৃতি ছিল, আশ্চৰ্য্য এই যে র্যারা আমাদের । আধ্যাত্মিকতার গর্ব করেন, তঁরা সেটা প্ৰমাণ না করে ব্যোমযানাদির অস্তিত্ব প্রমাণ করতে এত ব্যস্ত হন। অতীত সম্বন্ধে যে যত অজ্ঞ, সে তত গর্বিত। আমাদের বিশ্বাস, আমাদের দেশে লোভ ছিলনা, মোহ ছিল না-পুর্বপুরুষেরা ভাত এবং তেতুল-পাতার ঝোল খেতেন—বড় জোর একটু হৰ্ত্তকী ; শর্তারা পরতেন কৌলীন ; তারা যে বিবাহ করতেন, তাও কেবল পিণ্ডার্থে; এবং তঁরা সকলেই বুড়ে বয়সেবনে গিয়ে যোগান্তে দেহত্যাগ করে হয়। সাযু্য নয়। স্বালোক্য লাভ করতেন ! আমাদের অহঙ্কার চলে দুতরফ। রাজপুতরমণী যুদ্ধ থেকে পলাতক স্বামীকে দুর্গে প্ৰবেশ করতে দেন নি—সে দৃষ্টান্ত দেখিয়ে বলি যে, এ কােজ কেবল হিন্দুরমণীই করতে পারত, তারা ত কেবল ভোগের দাসী নয়, তাঁরা ছিল সহধৰ্ম্মিণী ; আবার লক্ষহীরার গল্পের বেলায় সহধৰ্ম্মিণী । কথাটার উল্লেখ করিনে, বলি দেখেছি হিন্দুনারীর স্বামীভক্তি-স্বামী পাপকাৰ্য্য করতে যাচ্ছেন, তবু সে স্বামীকে বিচার করতে বলে নি, স্বামী যা চেয়েছেন তাই জুগিয়ে দেবার সে সাহায্য করেছে। প্রাচীনকালে আমরা ছিলামনির্লেভ, নিষ্কাম-আর পাশ্চাত্য-সভ্যতার সংস্পর্শে হয়ে গেছি লোভী, বিলাসী; অথচ ভারতবর্ষের সাহিত্যে বিলাসের যেচিত্ৰ আছে, - SYNO