পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা उाभtब्र अश्हांद्र Ved নি; ম্যালেরিয়া, কলেরা, বসন্ত, প্লেগ, অগ্নিভয়, জলকষ্ট, দুভিক্ষ-কাউকেও অমরা বাধা দিচ্ছি নে, কিন্তু সেযে আমাদের বিশ্বপ্ৰেম বা আধ্যাত্মিকতার ফল-এ কথা তর্কপটু বাঙালীও প্রমাণ করতে পারবেন না । বিশ্বপ্ৰেম বুঝি সবলের বেলায় ;-দুর্বল অস্পৃশ্য যখন আমাদের পায়ের তলায় পিষ্ট হচ্ছে তখন আমাদের বিশ্বপ্ৰেম থাকে কোথায় ? অস্পৃশ্যদের দেবতার ভোগও আমাদের কাছে অস্পষ্ঠ। আমি জানি তর্ক উঠবে, বিলেতে কি জাত নেই ;-নাহয় ধরে নেওয়া যাক তাদের আছে, -কিন্তু তাতে কি আসে যায় ? তারা হচ্ছে অহিন্দু দেহাত্মবাদী,- কিন্তু আমরা যে আধ্যাত্মিক জাত, আমরা যে সমাদশী, আমাদের যে তুলনা নেই!—যদি কেবল অতীত নিয়েই গর্ক্স করতুম, তাহলে তত ক্ষতি ছিল না-কিন্তু আমরা এখন বর্তমান নিয়েও গর্ব করতে আরম্ভ করেছি। আমাদের আচার, অনুষ্ঠান, ধৰ্ম্ম যে জগতে অতুলনীয়, সে “ সম্বন্ধে আমাদের আর মতভেদ নেই। আমরা বলি, আমরা হিন্দুসন্তান স্থলকে পূজা করি না, কিন্তু জানতে চান্ধ কোন সূক্ষাকে আমরা পূজা করি ? অর্থের নেশা কি আমাদের ধরে নি ?—অন্তের কথা। দূরে থাকুক, দেবী সরস্বতীর মন্দিরে যাদের প্রবেশের অধিকার আছে, ভীরাও আজ লক্ষীর দ্বারস্থ। এখন এমন কি আদর্শ আছে, যার কাছে আমাদের ক্ষুদ্র স্বার্থকে আমরা বিসর্জন দিতে পারি ? এই যে পাশ্চাত্য জাতদের আমরা জড়-উপাসক বলে ঘৃণা করি, তারাই ত আজ দেশের জন্যে যুদ্ধক্ষেত্রে অকাতরে প্রাণ দিচ্ছে। এই যে জাতীয় আদর্শের কাছে ব্যক্তির স্বার্থের বলিদানা-একি আধ্যাত্মিকতার এক অঙ্গ নয় ? কেউ ইয়াত বলবেন যে, তারা কোনও আদর্শের আকর্ষণে প্ৰাণ দিচ্ছে না, তারা ইস-দেবতার কাছে আত্মবলি দিচ্ছে। কিন্তু এ কথাটা ভেবে