পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭২২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

e 8 সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৩ সাধারণ সমালোচকগণ আজকালকার বাংলা-ভাষাকে দু জাতিতে ভাগ করেছেন -একটীকে তঁরা বলেন “কথ্য, আর একটীিকে বলেন “লেখ্য’। আমি কিন্তু কথ্য-ভাষাকে ওঁরা যে অর্থে বলতে চান, সে অর্থে গ্ৰহণ করতে নারাজ । কারণ ভাষা মানেই হচ্ছে সেই বস্তুযার দ্বারা মনের ভাব প্ৰকাশ করা যায়। মনের ভাব ব্যক্ত করতে হলে যে ভাষা ব্যবহার করব।--তাই হচ্ছে কথ্য-ভাষা অথবা শুধু “ভাষা' বললেই চলে। তবে ‘লেখ্য-ভাষা' আবার পদার্থটা কি ? মনের কথা মুখ দিয়ে না বলে কলম দিয়ে লিখলেই তো লেখ্য ভাষা হবে। শব্দ বদলে ভাষার চেহারা বিগড়ে দিয়ে লিখতে গেলে মনের কথা বলা হয়। কই ? ষুে যতই ইংরেজ জানুক না কেন, মনের কথা ব্যক্ত করতে গেলে সে নিজের মাতৃভাষায় যেমন পারবে, ইংরেজিতে তেমন কিছুতেই পারবে না। আজুকাল যাকে লেখ্য-ভাষা বলা হয় তাও আমাদের কাছে কতকটা ঐ ইংরেজি-জাতীয়-কেননা তাও মুখস্থ করে শিখতে হয়। লেখ্য-ভাষায় লিখতে হলে মনের কথাটাকে একবার অনুবাদ করে নিতে হবে এবং তা সোজাসুজি বুঝতে হলে তাকে আবার সোজা কথ্য-ভাষায় অনুবাদ করা ভিন্ন উপায় নেই। অভ্যাস গুণে এর কষ্টটা যতই কম হোক না কেন-এর ব্যাপার নিহাৎ সোজা নয় । যাদেরই কথ্য-ভাষা আছে-তাদেরই এ লেখ্য-ভাষা । কিছু না কিছু যন্ত্রণা দিতে বাধ্য একথা আমরা আজ ভুলে গেলেও সেদিন ভুলি নি, যখন প্রথম বই পড়তে শিখি। প্রমথ বাবুর ভাষা লেখ্য-ভাষা হলেও আমরা সেই কষ্ট পাব। কিন্তু কলকাতার লোকে ত 2dदि a । পূর্ববঙ্গরাসীরা হয়তো বলরেন, যে কলকাতার ভাষা তো