পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭২৯

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

| ७|| ቐቑ, ማtሻሣ ጓቸቄn ठयां क९ SS একদিন নিজের স্বভাবেই ইহার পরিচয় পাইয়াছিলাম, সে কথাটা এইখানেই কবুল করি। পূর্বেই ত বলিয়াছি যে-ভাষা পুথিতে পড়িয়াছি সেই ভাষাতেই চিরদিন পুথি লিখিয়া হাত পাকাইলাম ; এ লইয়া এ পক্ষে বা ও পক্ষে কোনোপ্রকার মত গড়িয়া তুলিবার সময় পাই নাই। কিন্তু সবুজ পত্র সম্পাদকের বুদ্ধি নাকি তেমন করিয়া অভ্যাসের পকে জড়ায় নাই এইজন্য তিনি ফাকায় থাকিয়া * অনেক দিন হইতেই বাংলা-সাহিত্যের ভাষাসম্বন্ধে একটা মত খাড়া कद्रिभूष्यिन् । বহুকাল পূর্বে র্তার এই মত যখন আমার কানে উঠিয়াছিল আমার একটুও ভাল লাগে নাই। এমন কি, রাগ করিয়াছিলাম। নুতন মতকে পুরাতন সংস্কার অহঙ্কার বলিয়া তাড়া করিয়া আসে, কিন্তু অহঙ্কারটা যে পুরাতন সংস্কারেরষ্পক্ষেই প্রবল এ কথা বুঝিতে সময় লাগে। অতএব, প্ৰাকৃত বাংলাকে পুথির পংক্তিতে তুলিয়া লইবার বিরুদ্ধে আজকের দিনে যে সব যুক্তি শোনা যাইতেছে সেগুলো আমিও একদিন আবৃত্তি করিয়াছি। এক জায়গায় আমার মন অপেক্ষাকৃত সংস্কারমুক্ত। পদ্য রচনায় আমি প্রচলিত আইন কানুন কোনো দিন মানি নাই। জানিতাম কবিতায় ভাষা ও ছন্দের একটা বঁধন আছে বটে, কিন্তু সে বাঁধন নুপুরের মত, তাহা gदgिद्ध भड नश । এইজন্য কবিতার বাহিরের শাসনকে উপেক্ষা করিতে কোনোদিন ভয় পাই নাই। ক্ষণিকায় আমি প্ৰথম ধারাবাহিকভাবে প্ৰাকৃত বাংলা-ভাষা ও প্ৰাকৃত-বাংলার ছন্দ ব্যবহার করিয়াছিলাম। তখন সেই ভাষার শক্তি, বেগ ও সৌন্দৰ্য্য প্রথম স্পষ্ট করিয়া বুঝি। দেখিলাম এ ভাষা