পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৩২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ S 8 সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৩ বাঙালী যে ইতিপূর্বে কেবলি চাষবাস এবং ঘরকন্নার ভাবনা লইয়াই কাটাইয়াছে। এ কথা সম্পূৰ্ণ সত্য নহে। কিন্তু ইতিপূর্বে তার চেয়ে বড় কথা যারা চিস্তা করিয়াছেন তঁরা বিশেষ সম্প্রদায়ে বদ্ধ । তঁরা প্ৰধানত ব্ৰাহ্মণ পণ্ডিতের দল । তাদের শিক্ষা এবং ব্যবসা, দুইয়েরই অবলম্বন ছিল সংস্কৃত পুথি। এইজন্য ঠিক বাংলাভাষায় মনন করা বা মত প্ৰকাশ করা তাদের পক্ষে স্বাভাবিক ছিল না। তাই সেকালের গদ্য উচ্চ চিন্তার ভাষা হইয়া উঠিতে পারে मांदे । অপেক্ষাকৃত আধুনিক কালেও আমাদের দেশে ভাষা ও চিন্তার মধ্যে এইরূপ দ্বন্দ্ব ‘চলিয়া আসিয়াছে। যারা ইংরেজিতে শিক্ষা পাইয়াছেন। তঁদের পক্ষে ইংরেজিতেই চিন্তা করা সহজ ; বিশেষত যে সকল ভাব ও বিষয় ইংরেজি হইতেই তঁরা প্ৰথম লাভ করিয়াছেন সেগুলা বাংলা-ভাষায় ব্যবহার করা দুঃসাধ্য । কাজেই আমাদের ইংরেজি-শিক্ষা ও বাংলা-ভাষা সদরে অন্দরে স্বতন্ত্র হইয়া বাস করিয়া TifECTðC2 | এমন সময় র্যারা শিক্ষার সঙ্গে ভাষার মিল ঘটাইতে বসিলেন বাংলার চলিত গদ্য লইয়া কাজ চালানো তাদের পক্ষে অসম্ভব হইল। শুধু যদি শব্দের অভাব হইত। তবে ক্ষতি ছিল না। কিন্তু সব চেয়ে বিপদ এই যে, নূতন শব্দ বানাইবার শক্তি প্ৰাকৃত বাংলার মধ্যে নাই। তার প্ৰধান কারণ বাংলায় তস্থিত প্ৰত্যয়ের উপকরণ ও ব্যবহার অত্যন্ত ংকীর্ণ। “প্রার্থনা”। সংস্কৃত শব্দ, তার খাঁটি বাংলা প্ৰতিশব্দ “চাওয়া”। “প্রার্থিতা” ও “প্ৰাৰ্থনীয়” শব্দের ভাবটা যদি ঐ খাটি বাংলায় ব্যবহার করিতে যাই তবে অন্ধকার দেখিতে হয়। আজি