পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৩৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

er qg, wrtwfaint meer ভাষার কথা ዓ S ግ শিক্ষার কোন সামঞ্জস্য ঘটে নাই। রামমোহন রায় হইতে সুরু কুরিয়া আজ পৰ্য্যন্ত ক্রমাগতই নুতন ভাব ও নূতন চিন্তা আমাদের ভাষার মধ্যে আনাগোনা করিতেছে। এমন করিয়া আমাদের ভাষা চিন্তার ভাষা হইয়া উঠিয়াছে। এখন আমরা ঘরে ঘরে মুখে মুখে যে সব শব্দ নিরাপদে ব্যবহার করি তাহা আর পাঁচশ বছর পূর্বে করিলে দুর্ঘটনা ঘটিত। এখন আমাদের ভাষা বিচ্ছেদের উপর সাড়া ব্রিজ বাঁধা হইয়াছে। এখন আমরা মুখের কথাতেও নূতন পুরাতন সংস্কৃত শব্দ ব্যবহার করি আবার পথির ভাষাতেও এমন শব্দ চলিতেছে পূর্বে সাধুভাষায় যাদের জল-চল ছিল না। সেই জন্যই পুথির ভাষায় ও মুখের ভাষায় সমান বইরের রেল পাতিবার যে-প্ৰস্তাব উঠিয়াছে, অভ্যাসের আরামে ও অহঙ্কারে ঘা লাগিলেও সেটাকে একেবারে ठgाईशों लेिड °iांद्धि ना । আসল কথা সংস্কৃত ভাষা যে-অংশে বাংলা ভাষার সহায় সে-অংশে তাহাকে লাইতে হইবে, যে-অংশে বোঝা সুে অংশে তাহাকে ত্যাগ করিতে হইবে। বাংলাকে সংস্কৃতের পুত্ৰ বলিয়াই যদি মানিতে হয় তবে সেই সঙ্গে একথাও মান চাই যে তার ষোলো বছর পার হইয়াছে, এখন আর শাসন চলিবে না, এখন মিত্রতার দিন। কিন্তু যতদিন বাংলা বইয়ের ভাষা চলিত ভাষার ঠাট না গ্ৰহণ করিবে ততদিন বাংলা ও ংস্কৃত ভাষার সত্য সীমানা পাকা হইতে পরিবে না । ততদিন সংস্কৃত বৈয়াকরণের বগির দল আমাদের লেখকদের ত্ৰস্ত করিয়া রাখিবেন। প্ৰাকৃত বাংলার ঠাটে যখন লিখিব তখন স্বভাবতই সুসঙ্গতির নিয়মে ংস্কৃত ব্যাকরণের প্রভাব বাংলা ভাষার বেড়া ডিঙাইয়া উৎপাত করিতে কুষ্ঠিত হইবে।