পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৩৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

'ԳՀ o সবুজ পত্ৰ চৈত্র, ১৩২৩ বলি “বিছানা বালিশ মশারি সঙ্গে নিয়ে।” যদি ভিন্ন শ্ৰেণীয় পদার্থের প্রসঙ্গ করিতে হয় তবে বলি “বিছানা বালিশ মশারি। আর বইয়ের বাকুটা সঙ্গে নিয়ো ।” এর মধ্যে “এবং” কিম্বা “ও” কোথাও স্থান পায় না । কিন্তু পণ্ডিতেরা বাংলা-ভাষার ক্ষেত্রেও বাংলা-ভাষার আইনকে আমল দেন নাই। আমি এই যে দৃষ্টান্তগুলি দেখাইতেছি তার মৎলব। এই যে, পণ্ডিত মশায় যদি সংস্কৃত রীতির উপর ভর দিয়া বাংলারীতিকে অগ্ৰাহা করিতে পারেন, তবে আমরাই বা কেন বাংলারীতির উপর ভর দিয়া যথাস্থানে সংস্কৃত রীতিকে লঙ্ঘন করিতে সঙ্কোচ করি ? “মনোসাধো” আমাদের লজিক্ত কিসের ? “সাবধানী।” বলিয়া তখনি জিব কাটিতেৰাই কেন ? এবং “আশ্চৰ্য্য হইলাম” বলিলে পণ্ডিত মশায় “আশ্চৰ্য্যান্বিত হয়েন”, কি কারণে ? আমি যে-কথাটা বলিতেছিলাম। সে এই—যখন লেখার ভাষার সঙ্গে মুখের ভাষার অসামঞ্জস্য থাকে তখন স্বভাবের নিয়ম অনুসারেই এই দুই ভাষার মধ্যে কেবলি সামঞ্জস্যের চেষ্টা চলিতে থাকে। ইংরেজিগদ্যসাহিত্যের প্রথম আরস্তে অনেক দিন হইতেই এই চেষ্টা চলিতেছিল। আজ তার কথায় লেখায় সামঞ্জস্য ঘটিয়াছে বলিয়াই উভয়ে একটা সাম্য দশায় আসিয়াছে। আমাদের ভাষায় এই অসামঞ্জস্য । প্ৰবল সুতরাং স্বভাব। আপনি উভয়ের ভেদ ঘুচাইবার জন্য ভিতরে ভিতরে আয়োজন করিতেছিল। এমন সময় হঠাৎ আইনকৰ্ত্তার প্রাদুর্ভাব হইল। তারা বলিলেন লেখার ভাষা আজ যেখানে আসিয়া পৌঁছিয়াছে ইহার বেশী আর তাহার নড়িবার হুকুম নাই। সবুজ পত্র সম্পাদক বলেন বেচারা পুথির ভাষার প্রাণ কঁাদিতেছে কথার ভাষার সঙ্গে মালা বদল করিবার জন্য । গুরুজন ইহার প্রতি