পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৪০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ዓ8 S সবুজ পত্ৰ 5य, भै७२७ চলিতেছে । বঙ্কিমের কাল হইতে এ পৰ্য্যন্ত বাংলার গদ্য-সাহিত্যে প্ৰাদেশিক ভাষার প্রাদুর্ভাব ঘটিতেছে বলিয়া কথা উঠিয়াছে কিন্তু সে BD OBiD BBD D S BDB SDD DDBBDD KBSSSLDK BBBD বিশেষ পশ্চিম বাংলা প্রদেশেরও নয়। তাহা বাংলার রাজধানীতে সকল প্রদেশের মথিত একটি ভাষা। সকল ভদ্র ইংরেজের এক ভাষা যেমন ইংলণ্ডের সকল প্ৰাদেশিক ভাষাকে ছাপাইয়া বিশ্বব্যাপী হইয়া উঠিয়াছে, এও সেইরূপ। এ ভাষা এখনো তেমন সম্পূর্ণভাবে ছড়াইয়া পড়ে নাই বটে, কিন্তু সাহিত্যকে আশ্রয় করিলেই ইহার ব্যাপ্তির সীমা থাকিবে না। সমস্ত দেশের লোকের চিত্তের ঐক্যের পক্ষে কি ইহার কোনো প্রয়োজন নাই ? শুধু কি পুথির ভাষার ঐক্যই একমাত্র ঐক্যবন্ধন ? আর এ কথাও কিসত্য নয় যে, পুথির ভাষা আমাদের নিত্য ব্যবহারের ভাষা হইতে বিচ্ছিন্ন হইয়া, থাকিলে তাহা কখনই পুর্ণ শক্তি লাভ করিতে পারেনা ? যখন বঙ্গবিভাগের বিভীষিকায় আমাদের গায়ে কঁাটা দিয়াছিল তখন আমাদের ভয়ের একটা প্ৰধান কারণ ছিল এই যে এটা রাজনৈতিক ভূগোলের ভাগ নয়, ভাষার ভাগকে আশ্ৰয় করিয়া বাংলার পূর্ব পশ্চিমে একটা চিত্তের ভাগ হইবে। সমস্ত বাংলা দেশের একমাত্র রাজধানী থাকাতে সেইখানে সমস্ত বাংলা দেশের একটি সাধারণ ভাষা। আপনি জাগিয়া উঠিতেছিল। তাহ ফরমাসে গড়া কৃত্রিম ভাষা নহে তাহা জীবনের সংঘাতে প্ৰাণলাভ করিয়া সেই প্ৰাণের নিয়মেই বাড়িতেছে। আমাদের পাকযন্ত্রে নানা খাদ্য আসিয়া রক্ত তৈরি হয়, তাহাকে বিশেষ করিয়া পাকযন্ত্রের রক্ত বলিয়া নিন্দ করা চলে না। তাহা সমস্ত দেহের রক্ত। রাজধানী জিনিসটা স্বভাবতই দেশের পাকযন্ত্র। এইখানে নানা ভাব, নানা বাণী এবং নানা শক্তির পরিপাক