পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৪১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা ভাষার কথা १२७ ঘটিতে থাকে এবং এই উপায়ে সমস্ত দেশ প্ৰাণ পায় ও ঐক্য পায় । রাগ করিয়া এবং ঈর্ষা করিয়া যদি বলি প্ৰত্যেক * প্ৰদেশ আপনি স্বতন্ত্র পাকর্ষন্ত্র বহন করুক ভাবে আমাদের হাত পা বুক পিঠ বিধাতার বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করিয়া বলিতে পারে আমাদের নিজের নিজের একটা করিয়া পাকযন্ত্র চাই।” কিন্তু যতই রাগ করি আর তর্ক করি, সত্যের কাছে হার মানিতেই হয় এবং সেইজন্যই সংস্কৃত বাংলা আপনার খোলস ভাঙিয়া যে ছাদে ক্রমশ প্ৰাকৃত বাংলার রূপ ধরিয়া উঠিতেছে সে ছাদ ঢাকা বা বীরভূমের নয়। তার কারণ নানা প্রদেশের বাঙালী শিখিতে, আয় করিতে, ব্যয় করিতে, আমোদ করিতে, কাজ করিতে অনেক কাল হইতে কলিকাতায় আসিয়া জমা হইতেছে । তাহদের সকলের সম্মিলনে যে এক ভাষা। গড়িয়া উঠিল। তাহা ধারে ধীরে বাংলার সমস্ত প্রদেশে ছড়াইয়া পড়িতেছে। এই উপায়ে, অন্য দেশে যেমন ঘটিয়াছে, তেমনি এখানেও একটি বিশেষ ভাষা বাংলা দেশের সমস্ত ভদ্রঘরের ভাষা হইয়া উঠিতেছে। ইহা কল্যাণের লক্ষণ । অবশ্য স্বভাবতই এই ভাষার ভূমিকা দক্ষিণ বাংলার ভাষায়। এইটুকু নম্রভাবে স্বীকার করিয়া না লওয়া সদ্বিবেচনার কাজ নহে। ঢাকাতেই যদি সমস্ত বাংলার রাজধানী হইত। তবে এতদিনে নিশ্চয়ই ঢাকার লোক-ভাষার উপর আমাদের OD DBDD BBDB BDBS BDDBD D DDDB BBD BBB DDHD BD મૂ বঁকা করিত তবে সে বক্রতা। আপনিই সিধা হইয়া যাইত, মানভঞ্জনের জন্য অধিক সাধাসাধি করিতে হইত না । এই যে বাংলা দেশের এক-ভাষা, আজকের দিনে যাহা অবাস্তব নহে, অথচ যাহাকে সাহিত্যে ব্যবহার করি না বলিয়া যাহার পরিচয় আমাদের কাছে সর্বাঙ্গ সম্পূর্ণ হয় নাই, যখনি শক্তিশালী সাহিত্যিকেরা এই