পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৪৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৩য় বর্ষ, দ্বাদশ সংখ্যা ভাষার কথা A之@ এ কথা স্বীকার করিতেই হইবে সাহিত্যে আমরা যে ভাষা ব্যবহার করি। ক্রমে ক্ৰমে তার একটা বিশিষ্টতা দাড়াইয়া যায়। তাহার প্রধান কারণ সাহিত্যে আমাদিগকে সম্পূৰ্ণ করিয়া চিন্তা করিতে এবং তাহা সম্পূৰ্ণ করিয়া ব্যক্তি করিতে হয়, আমাদিগকে গভীর করিয়া অনুভব করিতে এবং • তাহা সরস করিয়া প্রকাশ করিতে হয়। অর্থাৎ সাহিত্যের ক্ষেত্ৰ প্ৰধানত নিত্যতার ক্ষেত্ৰ। অতএব এই উদ্দেশ্যে ভাষাকে বাছিতে সাজাইতে এবং বাজাইতে হয়। এই জন্যই স্বভাবতই সাহিত্যের ভাষা মুখের ভাষার চেয়ে বিস্তীর্ণ এবং বিশিষ্ট হইয়া থাকে। আমার কথা। এই, প্ৰতিদিনের যে-ভাষার খাদে আমাদের জীবন স্রোত বহিতে থাকে, সাহিত্য আপন বিশিষ্টতার অভিমানে তাহা হইতে যত দূর পড়ে ততই তাহা কৃত্রিম হইয়া উঠে। চিরপ্রবাহিত জীবনধারার সঙ্গে সাহিত্যের ঘনিষ্ঠতা রাখিতে হইলে তাহাকে একটুিকে সাধারণ, আর একদিকে বিশিষ্ট” হতে হইবে। সাহিত্যের বিশিষ্টতা V tets ritgeists यभने ছাড়িয়া চলে তখন তাহার বিলাসিত তাহার শক্তি ক্ষয় করে। সকল দেশের সাহিত্যৈরই সেই বিপদ। সকল দেশেই বিশিষ্টতার বিলাসে ক্ষণে ক্ষণে সাহিত্য কৃত্রিমতার বন্ধ্যদশায় t ugDB BDBDSSS SDBDD BDBB S DBDDB DDDBBD BBD DDD প্রাণরক্ষার দিকে ঝোঁক দিতে হয় । সেই প্ৰাণের খোরাক কোথায় ? সাধারণের ভাষার মধ্যে, যেখানে বিশ্বের প্রাণ আপনাকে মুহূৰ্ত্তে মুহুর্তে প্রকাশ করিতেছে। ইংরেজি সাহিত্যিক ভাষা প্ৰথমে পণ্ডিতের ভাষা ল্যাটিন এবং রাজভাষা ফরাসীর একটা কৌলিন্য খিচুড়ি ছিল, তার পরে ফুল ছাড়িয়া যখন সে সুধারণের ঘরে আশ্রয় লইল তখনি সে ধ্রুব হইল। কিন্তু তাহার পরেও বারে বারে সে কৃত্রিমতার দিকে