পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৪৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ovОe সবুজ পত্ৰ 5, »७२७ BDDL SS DDD DDB BD DBBDS BB DBDB DBD BDDS TB DBDzS B S SBDB DBiB DBD BDDED KBDS SD DBDB আছে ! বসন্তে প্ৰকৃতিসুন্দরী নেপথ্যবিধান করেন, সে সাজগোজ দেখবার যদি কোনও চোখ না থাকে, তাহলে কার জন্যই বা নবীন পাতার রঙীন শাড়ী পরা, কার জন্যই বা ফুলের অলঙ্কার ধারণ, আর কার জন্যই বা তরুণ আলোর অরুণ হাসি হাসা ?--তার চাইতে চােখের জল ফেলা ভাল। অর্থাৎ এ অবস্থায় শীতের পাশে বর্ষাই মানায় ভাল। শুনতে পাই কোনও ইউরোপীয় দার্শনিক আবিষ্কার করেছেন যে, মানবসভ্যতার তিনটি স্তর অাছে। প্রথম আসে শ্রুতির যুগ, তারপর দর্শনের, ফারপর বিজ্ঞানের। এ কথা যদি সত্য হয় ত, আমরা বাঙ্গালীরা আর যেখানেই থাকি-মধ্যযুগে নেই ; আমাদের বৰ্ত্তমান অবস্থা হয় সভ্যতার প্রথম ভাবস্থা, নয় শেষ অবস্থা। আমাদের এ যুগ যে দর্শনের যুগ নয়, তার প্রমাণ,-আমরা চোখে কিছুই দেখি নে, কিন্তু হয়। সবই জানি, নয় সবই শুনি । এ অবস্থায় প্ৰকৃতি যে আমাদের প্রতি অভিমান করে, তার বাসন্তী-মুৰ্ত্তি লুকিয়ে ফেলবেন, তাতে আর আশ্চৰ্য্য কি ? ( ७ ) আমি এইমাত্র বলেছি যে, এ যুগে আমরা হয় সব জানি, নয় সব শুনি। কিন্তু সত্য কথা এই যে, আমরা একালে যা-কিছু জানি, সে লাল শুনেই জানি,-অর্থাৎ দেখে কিম্বা ঠেকে নয়; তার কারণ, আমাদের