পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ve 6, wilሻማ ήκη *otos “OŠ) ( 3 ) . ? আমার এ অনুমানের স্পষ্ট প্রমাণ সংস্কৃত-কাব্যে পাওয়া যায়, কেননা পুরাকালে কবিরা সকলেই স্পষ্টবাদী ছিলেন। সেকালে তাদের বিশ্বাস ছিল যে, সকল সত্যই বক্তব্য,-সে। সত্য মনেরই হোক, আর দেহেরই হোক । অবশ্য একালের রুচির সঙ্গে সেকালের রুচির কোনও মিল নেই। সেকালে সুরুচির পরিচয় ছিল, কথা ভাল করে বলায়, -একালে ওগুণের পরিচয়, চুপ করে থাকায়। নীরবতা যে কবির ধৰ্ম্ম, এ জ্ঞান সেকালে জন্মে নি। সুতরাং দেখা যাক-তাদের কাব্য থেকে বসন্তের জন্ম-কৃথা উদ্ধার করা যায় কি না ? ংস্কৃত মতে বসন্ত মদন-সখা । মনস্ট্রিজের দর্শনলাভের জন্য মানুষকে প্রকৃতির দ্বারস্থ হতে হয় না। কেননা, মন যার জন্মস্থান, তার সাক্ষাৎ মনেই মেলে । * * ও-বস্তুর আবির্ভাবেয়া সঙ্গে সঙ্গেই মনের দেশের অপূৰ্ব্ব রূপান্তর ঘটে,-তখন সে রাজ্যে ফুল ফোটে পাখী ডাকে, আকাশ বাতাস বর্ণে গন্ধে ভরপুর হয়ে ওঠে।--মানুষের স্বভাবই এই যে, সে বাইরের বস্তুকে অস্তরে, আর অন্তরের বস্তুকে বাইরে প্রতিষ্ঠিত করতে চায়। এই ভিতর-বাইরের সমন্বয় করাটাই হচ্ছে আত্মার ধৰ্ম্ম । সুতরাং মনসিঙ্গের প্রভাবে মানুষের মনে যে রূপরাজ্যের হয়, তারই প্ৰতিমূৰ্ত্তিস্বরূপে বসন্তঋতু কল্পিত হয়েছে,-আসলে ও ঋতুর কোনও অস্তিত্ব নেই। এর একটি অকাট্য প্রমাণ আছে। যে শক্তির বলে, মনোরাজ্যের এমন রূপান্তর ঘটে—সে হচ্ছে যৌবনের শক্তি। তাই আমরা বসন্তকে প্রকৃতির যৌবনকাল বলি, অথচ এ কথা আমরা কেউ ভাবি নে যে, জন্মাবামাত্র যৌবন কুরও দেহ