পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৫২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

१७४ সবুজ পত্ৰ ன்ே, அRe আশ্রয় করে না ; অথচ পয়ল ফাগুন যে বসন্তের জন্মতিথি-এ কথা আমরা সকলেই জানি। অতএব দাড়াল এই যে, বসন্ত প্ৰকৃতির রাজ্যে একটা আরোপিত ঋতু। আমার এ সব যুক্তি যদিও সুযুক্তি না হয়—তাহলেও আমাদের মেনে নিতে হবে যে বসন্ত, মানুষের মনোকল্পিত ; নচেৎ আমাদের স্বীকার করতে হয় যে, বসন্ত ও মনোজ, উভয়ে সমধম্মী হলেও, উভয়েরই স্বতন্ত্র অস্তিত্ব আছে। বলা বাহুল্য, এ কথা মানার অর্থ, সংস্কৃতে যাকে বলে দ্বৈতবাদ, এবং ইংরাজিতে Parallelism--air বাতিল দর্শনকে গ্ৰাহ করা। সে ত অসম্ভৱ। অবশ্য অনেকে বলতে পারেন যে, বসন্তের অস্তিত্বই প্ৰকৃত, এবং তার প্রভাবেই মানুষের মনের যে বিকার উপস্থিত হয়, তারই নাম মনসিজ । এ ত পাকা জড়বাদ, অতএব বিনা বিচারে অগ্রাহ, আমার শেষ কথা এই যে, এ পৃথিবীতে বসন্তের যখন কোনকালে অস্তিত্ব ছিল না, তখন সে অস্তিত্বের কোনকালে লোপ হতে পারে না । আমরা ও-বস্তু যদি হারাই, তবে সে আমাদের অমনোযোগের দরুণ। যে জিনিস মানুষের মনগড়, তা মানুষের মন দিয়েই খাড়া । রাখতে হয় । পুর্ব কবিরা কায়মনোবাক্যে যে রূপের-ঋতু গড়ে তুলেছেন-সেটিকে হেলায় হারানো বুদ্ধির কাজ নয়। সুতরাং বৈজ্ঞানিকেরা যখন বস্তুগত্যা প্ৰকৃতিকে মানুষের দাসী করেছেন, তখন কবিদের কৰ্ত্তব্য হচ্ছে কল্পনার সাহায্যে তঁর দেবীত্ব রক্ষা করা । এবং এ উদ্দেশ্য সাধন করতে হলে তঁর মূৰ্ত্তির পূজা করতে হবে,- কেননা পূজা না পেলে দেবদেবীরা যে অন্তর্ধান হন.-এ সত্য ত ভুবনবিখ্যাত। দেবতা যে মন্ত্রাত্মক। আর এ পুজা যে অবশ্যকৰ্ত্তব্য তার