পাতা:সবুজ পত্র (তৃতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭৫৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

68 à REt så वैष्णी, »८१७ চিন্তা করাই হচ্ছে বৰ্ত্তমান সভ্যতার ধৰ্ম্ম । কিন্তু আজকের দিনে বাংলা দেশে সভাজাগানো বক্তা কোথায় ? যে দেশে রামগোপাল ঘোষ, কেশবচন্দ্ৰ সেন, লালমোহন ঘোষ, কালি ব্যানাজি প্ৰভৃতির জন্ম-সেই দেশ আজ উচ্চবাচ্য করতে হলে,-“মর্যাহতি লাখটাকা” বলে সেই সেকালের সুরেন্দ্রনাথকেই আবার আসরে নামাই ; কেননা এ যুগের কণ্ঠস্বর এত ক্ষীণ যে, তা দেশের কাণে পৌছয় না। এককালে প্ৰবাদ ছিল যে, বম্বেওয়ালার রাজদরবারে যেতেন হাতে নিয়ে অঙ্ক, আর বাঙ্গালীর শঙ্খ। সেখানে শঙ্খধ্বনি শুধু বাঙ্গালীতেই করতে পারত। किन्नु আজকের দিনে আমাদের হাতের শঙ্খ খসে পড়েছে, অথচ তার বদলে অঙ্ক ও আসে নি। সে দরবারে এখন মুখে শিক্ষিত সম্প্রদায়ের মুখরক্ষা করছেন,-শৰ্ম্ম শাস্ত্রী প্রভৃতি দক্ষিণী ব্ৰাহ্মণগণ ।। ৮ এই সব দেখে শুনে মনে হয়, আমাদের জাতীয় মনটা আজকাল বিমিয়ে পড়েছে । আর সে মন যে বিমিয়েই পড়েছে, তার প্রমাণআমাদের মনের গায়ে কেউ হাত দিলে আমরা অমনি চমকে উঠি; তারপরে চোখ রগড়ে লাল করে, যা মুখে আসে তাই বলি,-আর সেই কথার নাম দিই জাতীয়-সাহিত্য । কিন্তু এ সব দেখে শুনেও আমি আমাদের জাতির ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে হতাশ হইনে । আমার বিশ্বাস বাঙ্গালীজাতি এ যুগে নীরবে নিজের অন্তরে নবশক্তি সঞ্চয় করছেনবপ্রাণে অনুপ্ৰাণিত হচ্ছে। লৌকিক সাহিত্যেই যে জাতীয়জীবনের যথার্থ বিকাশ-এ কথা আমি মানি নে। একটা বড়গোছের । পরিবর্তনের মুখে, জাতীয় মন স্বভাবতঃই সঙ্কুচিত হয়, তখন তা রীতিনীতির পরিচিত শামুকের মধ্যে মাথা গুজে থাকতে চায়। যে