পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় বর্ষ, সপ্তম সংখ্যা বৰ্ত্তমাম বঙ্গ-সাহিত্য W0QQ • বিশ্বাস, কেবলমাত্ৰ অন্যমনস্কতার পরিচয় দেওয়া হয়। মহাকবি ভাস বলেছেন যে পৃথিবীতে ভাল কাজ করবার লোক সুলভ, ८5नदांद्र cलांकशे छ्"ङ । মহাকাব্যের দিন যে চলে গেছে, তার প্রমাণ বৰ্ত্তমান ইউরোপেও পাওয়া যায়। সে দেশে কবিতা তাজ ও লেখা হয়ে থাকে, কিন্তু হাতে-বহরে সে সবই ছোট । ফরাসী দেশের বিখ্যাত লেখক আঁদ্রে গদ বলেন যে, গীতাঞ্জলি মুষ্টিমেয় না হলে বৰ্ত্তমান ইউরোপ তা করযোড়ে গ্রহণ করত না । তার ধারণা ছিল যে, ভারতবর্ষে রামায়ণ মহাভারতের চাইতে ছোট কিছু লেখা হয়নি এবং হতে পারে না। এ কথা অবশ্য সত্য নয়। সংস্কৃত সাহিত্যে যেমন একদিকে রামায়ণ মহাভারত আছে, অপরদিকে তেমনি দু-লাইন চার লাইন কবিতার ও ছড়াছড়ি । ভারতবর্ষে পূর্বের্ন যা ছিল না, সে হচেছ এ দুয়ের মাঝামাঝি কোনও পদার্থ ; এ কালে আমরা যে ব্যাস বাল্মীকির অনুকরণ না করে, অমর, ভর্তৃহরির অনুসরণ করি, সে যুগ ধৰ্ম্মের প্রভাবে । যে কারণে ইউরোপে আর মহাকাব্য লেখা হয় না, সেই একই কারণে এ দেশে ও মহাকাব্য লেখা স্থগিত রয়েছে। এ যুগের কবিতা হচ্ছে হৃদয়ের স্বগতোক্তি, সুতরাং সে উক্তি একটি দীর্ঘনিঃশ্বাসের চাইতে দীর্ঘ হতে পারে না । কিন্তু একালে গল্প আমরা গদ্যে বলি, কেননা আমরা আবিষ্কার করেছি যে দুনিয়ার কথা দুনিয়ার লোকের কাছে পৌছে দেবার জন্য গদ্যের পথই প্রশস্ত। সুতরাং গল্পের উত্তরোত্তর দেই সংকুচিত হওয়াটা ক্রমোন্নতির লক্ষণ নয়। ইউরোপে আজও পাঠে এমন এমন নভেল লেখা হয়ে থাকে, যা আকারে মহাভারতের