পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ পৌষ, ১৩২২ বুড়ো খাজাঞ্জি যে কতখানি সত্য তা ও একেবারে দেখতে পাচে না, সেখানে যেন ফঁাকা আকাশ । সেই আকাশে প্ৰাণ নেই, ব্যথা নেই, কেবল শ্লোক আছে, ন হন্যতে হ্যমানে শরীরে । আমি বল্লম, বল কি অমূল্য । আমাদের রায়মশায়ের যে স্ত্ৰী অাছে, ছেলেমেয়ে অাছে —তার যে -— শ্ৰী নেই, ছেলেমেয়ে নেই এমন মানুষ এদেশে পাব কোথায় ? দেখুন আমরা যাকে দয়া বলি । সে কেবল নিজের পরেই দয়া, পাছে নিজের দুৰ্ব্বল মনে ব্যথা লাগে সেই জন্যেই অন্যকে অ্যাঘাত করতে পারিনে—এই তা হল কাপুরুষতার চুড়ন্ত ! সন্দীপের মুখের বুলি বালকের মুখে শুনে বুক কেঁপে উঠল। ও যে নিতান্ত কঁাচা, ভালোকে ভালো বলে বিশ্বাস করবারই যে ওর সময়। আহা ওর যে বাঁচবার বয়েস, বাড়বার বয়েস । অামার ভিতরে মা জেগে উঠল যে । নিজের দিক থেকে অামার ভালোও ছিল না মন্দ ও ছিল না, ছিল কেবল মরণ, মধুর ক্লপ ধরে”; কিন্তু যখন এই আঠারো বছরের ছেলে এমন অনায়াসে মনে করতে পারলে একজন বুড়ো মানুষকে বিনা দোষে মেরে ফেলাই ধৰ্ম্ম তখন আমার গা শিউরে উঠল। যখন দেখতে পেলুম ওর মনে পাপ নেই তখন ওর এই কথার পাপ বড় ভয়ঙ্কর হয়ে আমার কাছে দেখা দিলে । ষেন বাপ মায়ের অপ রাধকে কচি ছেলের মধ্যে দেখতে পেলুম । বিশ্বাসে উৎসাহে ভরা বড় বড় ঐ দুটি সরল চোখের দিকে চেয়ে আমার প্রাণের ভিতর কেমন করতে লাগল। অজগর সাপের মুখের মধ্যে চুকতে চলেচে, একে কে বাঁচাবে ? অামার