পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় বর্ষ, দশম সংখ্যা ঘরে-বাইরে Vara বন্দুক তলোয়ার ইত্যাদি। বুঝলুম এ সমস্ত বাজে কথা ; হয়, ভয়ের দৃষ্টিতে সব বেড়ে উঠেচে, নয় পরাভবের লজ্জা চাপা। দেবার জন্যে বাড়িয়ে তুলেচে। ওর ধারণা, হরিশকুণ্ডুর সঙ্গে আমার শক্ৰতা, এ তারই কাজ-এমন কি, তাদের এক্রাম সর্দারের গলার আওয়াজ স্পষট শুনতে পেয়েচে বলে তার বিশ্বাস । আমি বল্লম, দেখা কাসেম, আন্দাজের উপর ভর করে খবরদার পরের নাম জড়াসনে । হরিশকুণ্ডু এর মধ্যে আছে কি না সে কথা বানিয়ে তোেলবার ভার তোর উপর নেই। বাড়ি ফিরে এসে মাষ্টার মশায়কে ডেকে পাঠালুম। তিনি মাথা নেড়ে বল্লেন-আর কল্যাণ নেই। ধৰ্ম্মকে সরিয়ে দিয়ে দেশকে তার জায়গায় বসিয়েছি-এখন দেশের সমস্ত পাপ উদ্ধত হয়ে ফুটে বেরবে, তার আর কোনো লজ্জা থাকবে না। আপনি কি মনে করেন, একাজআমি জানিনে কিন্তু পাপের হাওয়া উঠেচে। দাও, দাও, তোমার এলেকা থেকে ওদের এখনি বিদায় করে দাও । আর একদিন সময় দিয়েচি-পশুর্ণ এরা সব যাবে। দেখ, আমি একটি কথা বলি, বিমলাকে তুমি কলকাতায় নিয়ে যাও । এখান থেকে তিনি বাইরেটাকে সঙ্কীর্ণ করে দেখাচেন, সব মানুষের, সব জিনিষের, ঠিক পরিমাণ বুঝতে পারচেন না। ওঁকে তুমি একবার পৃথিবীটা দেখিয়ে দাও-মানুষকে, মানুষের কৰ্ম্মক্ষেত্ৰকে, উনি একবার বড় জায়গা থেকে দেখে নিন। আমিও ঐ কথাই ভাবছিলুম। কিন্তু আর দেরি কোরো না । দেখ নিখিল, মানুষের ইতিহাস