পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

v28 সবুজ পত্ৰ মাঘ, ১৩২২ ( . ) বিধুশেখর শাস্ত্রী মহাশয় আরও বলেন যে “বেদপন্থীদের জ্ঞানদর্শন আচার ব্যবহার শিক্ষাদীক্ষা রীতিনীতি মূল করিয়া বৌদ্ধ এবং জৈন উভয় ধৰ্ম্মেরািঠ সন্ন্যাসিগণের বিধিনিষেধ প্ৰণীত হইয়াছে”- এর উত্তরে আমার বক্তব্য এই যে, পূর্বে যে সভ্যতার উল্লেখ করা হয়েছে তাতে গাৰ্হস্থ্য এবং অরণ্যক উভয় ধৰ্ম্মেরই প্ৰচলন ছিল। বাহ ধৰ্ম্মের প্রধান অবলম্বন সন্যাসধৰ্ম্ম, এবং বেদধৰ্ম্মের প্ৰধান অবলম্বন গ[হস্থ্যধৰ্ম্ম । শুনতে পাই কোন কোন ধৰ্ম্মশাস্ত্রকার গাৰ্হস্থ্য ব্যতীত অপর কোনও আশ্রম অঙ্গীকার করেন। না। এর উত্তরে মেধাতিথি বলেন যে, অপর তিনটি আশ্রমকে গাৰ্হস্থ্যর বিকল্পস্বরূপেষ্ট গ্রাহ করা হয়। সে যাই হোক মনুসংহিতার ষষ্ঠ অধ্যায় যদি লুপ্ত হয়ে যেত তাহলেও সে শাস্ত্রের যে কোনরূপ অঙ্গহানি হত না-সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। উভয়ের প্রস্থানভূমি এক হলেও, কৰ্ম্মমার্গে এবং ত্যাগমার্গে প্রভেদ বিস্তর, সুতরাং বেদধৰ্ম্ম এবং বাহাধৰ্ম্ম যে পরস্পর পরস্পরের শত্রু হয়ে উঠেছিল। এতে আশ্চৰ্য্য হবার কিছু নেই। সুতরাং এর একটি হতে অপরটির উদ্ভবের কল্পনা করা যুক্তিসিদ্ধ হবে না। এই সকল বিভিন্ন ধৰ্ম্ম-শাস্ত্রের মূল আর যেখানেই নিহিত থাক, বেদে নেই। সুতরাং শাস্ত্রকারেরা বেদকে কি অর্থে স্মৃতির মূলস্বরূপে স্বীকার করেন তাও একটু খুটিয়ে দেখা দরকার। (७) “মূল” শব্দ দ্ব্যর্থবাচক। ধৰ্ম্মের মূল কোথায় এ প্রশ্ন ঐতিহাসিকও জিজ্ঞাসা করেন, দার্শনিকও জিজ্ঞাসা করেন। কিন্তু