পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৯৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্ৰ म, >७२२ বুদ্ধির সাহায্যে ব্যবহারিক অনুষ্ঠান সকল নিৰ্ম্মাণ করিতে পারেন। আর যদি ইহাই হয় যে ভ্ৰান্ত অনুষ্ঠানসকল সিদ্ধিলাভ করিতে পারে তাহা হইলে ইহাও স্বীকার করিতে হয় যাবৎ সংসার তাবৎ একের ভ্ৰান্তি জগৎকে ভ্ৰান্ত করিয়া রাখিবো। এ কল্পনা অলৌকিকা। অতএব মনু প্ৰভৃতির শাস্ত্ৰ যে বেদমূলক, সে বিষয়ে দ্রান্তির কোন অবসর নাই। মন্বাদি, ধৰ্ম্মের যে সাক্ষাদর্শন লাভ করিয়াছিলেন এরূপ অনুমান করা অসঙ্গত । ইন্দ্ৰিয়ের সহিত পদার্থের সন্নিকৰ্যজি যে জ্ঞান তাহাই প্ৰত্যক্ষ জ্ঞান । ধৰ্ম্ম কখনও ইন্দ্ৰিয় গোচর হইতে পারে না, কেননা তাহা কৰ্ত্তব্যতা-স্বভাব । সেই কারণে বেদকে কৰ্ত্তব্য তা-স্মরণের অনুরূপ কারণস্বরূপে কল্পনা করা হইয়াছে। সে বেদ অনুমানের দ্বারাই মনুপ্ৰভৃতির উপলব্ধ হইয়াছিল। বেদের যে শাখা স্মাৰ্ত্ত ধৰ্ম্মের আশ্রয় সে अथ। शेल नौ९ ठ९शक्ष श्ध्रicछ ।” সুতরাং দেখা গেল যে, মীমাংসকদের মতে বেদ যে স্মৃতির মূল এও কল্পনামাত্র। তা ছাড়া বেদকে সামান্য-ধৰ্ম্মের (morality) মূলস্বরূপেই কল্পনা করা হয়েছে, বিশেষ ধৰ্ম্মের নয়। মেধাতিথি বলেন,- “বিশেযনিৰ্দ্ধারণে তু ন কিঞ্চিৎ প্ৰমাণাং ন চ প্রয়োজনম” ৷ সুতরাং বেদে ভারতবর্ষের সকল ধৰ্ম্মের মূল অনুসন্ধান করতে গেলে শুধু বাহ ধৰ্ম্মের নয়, বৈদিক ধৰ্ম্মেরও বিশেষত্ব উপেক্ষা করা হয়। বস্তুর বিশেষ জ্ঞানের নামই বিজ্ঞান। সুতরাং এ সকল ধৰ্ম্মের ভিতর যা সৰ্বসামান্য কেবলমাত্র তার প্রতি মনোযোগ দেওয়াতে আমাদের অতীতের জ্ঞান এক পদও অগ্রসর হয় না । আমাদের পুর্বপুরুষেরা উক্ত পদ্ধতি অনুসারে বেদ এবং বাহ ধৰ্ম্মের সমন্বয় করা অতি গহিত কাৰ্য্য বলে মনে করতেন। ধৰ্ম্মের সঙ্গে বেদান্তের, ব্ৰাহ্মণের সঙ্গে বৈষ্ণবের, শৈবের সঙ্গে বেীদ্ধের এবং চার্বাকের সঙ্গে মীমাংসকের সমন্বয় করা এ যুগের