পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩০১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ebyR সবুজ পত্র RÎN, SORR না দিয়ে সময়-সময় আনন্দ দেবার বৃথাচেষ্টা করে তঁদের বিরাগভাজন হই তার একটি বিশেষ কারণ আছে। বাঙ্গলা-সাহিত্যের যে শুধু পাঠক আছেন তা নয়, পাঠিকাও আছেন। দলে বোধ হয় উভয়েই সমান পুরু হবেন-অথচ এ উভয়ের ভিতর বিদ্যার প্রভেদ বিস্তর। পাঠকেরা-সব বিশ্ববিদ্যালয়ের পরীক্ষোৰ্ত্তীর্ণ, পাঠিকারা বালিকা-বিদ্যালয়ের পরীক্ষাৰ্ত্তীর্ণাও নন। সুতরাং পাঠকদের জন্য লেখকদের post graduate লেকচার দেওয়া কৰ্ত্তব্য এবং পাঠিকাদের জন্য নিম্ন প্ৰাইমারির। অথচ শ্রোতাদের শিক্ষা দিতে হলে আমাদের পক্ষে সেইরূপ বক্তৃতা করা আবশ্যক-যা সকলের পক্ষে সমান উপযোগী হয় । অসাধ্য সাধন করবার দুঃসাহস সকলের নেই, সম্ভবতঃ সেই কারণে বাঙ্গলার কাব্য-সাহিত্য শিক্ষাদানের ভার হাতে নেয়নি । কিন্তু এদেশের আবালবৃদ্ধবনিতা সকলের পক্ষে সমান শিক্ষাপ্ৰদ সাহিত্য যে রচনা করা যায় না—এ ধারণা অমূলক । উপর উপর দেখলেই এ দেশের শিক্ষিত লোক এবং অশিক্ষিত স্ত্রীলোকের বিদ্যাবুদ্ধির প্রভেদ মস্ত দেখায়-কিন্তু একটু তলিয়ে দেখলেই দেখা যায় যে, আমরা মনে সকলেই এক। মনােরাজ্যে যে আমাদের লিঙ্গভেদ নেই, বৰ্ণভেদ নেই, বয়োভেদ নেই তার প্রমাণ হাতে-কলমে দেখানো যেতে পারে। “ঘরে-বাইরে” লেখবার কৈফিয়ৎ তলব । করে একটি ভদ্রমহিলা রবীন্দ্ৰনাথকে যে পত্র লিখেছিলেন তা যে-কোনও এম-এ-পাস-করা প্রোফেসর লিখতে পারতেনএবং উক্ত গল্প পাঠ করে একটি এম-এ-পাস-করা প্রোফেসরের মনে যে সমস্যার উদয় হয়েছে তা যে কোনও ভদ্রমহিলার মনে