পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

á IT সবুজ পত্র - কাৰ্ত্তিক, ১৩২২ কোন রসস্বরূপ আছে, তা উপনিষদের সিদ্ধান্ত নয়। “ব্ৰহ্ম সচ্চিদানন্দ স্বরূপ”। তার মানে এই যে, সৎ, চিৎ এবং আনন্দ, এই তিনটিই পরস্পর অভিন্ন এক তত্ত্ব । যাকে রস বলছি, তাকেই আনন্দ বলতে হবে, -কারণ আনন্দ ছাড়া “রসতত্ত্ব৷” বলে’ ব্ৰহ্মের আর কোন স্বতন্ত্র তত্ত্ব নেই। পুত্ৰকে পেয়ে আনন্দ পাই, অথচ পুত্র আনন্দ নয়, এ সমস্ত ছেলেমানুষী তর্কের আড়ম্বর করে শুধু কথা বাড়াচ্ছেন মাত্র, কারণ আমরা ত বলিনি যে-“রস পেয়ে আমরা আনন্দ পাই” ; আমরা বলছি যে, রসও যা’ আনন্দও তা”, আনন্দময়ত্ত্বই হচ্ছে রসের লক্ষণ । কাজেই কোন রসটা শ্ৰেষ্ঠ, কোন রসটা নিকৃষ্ট, এ কথা বলা চলে না,- এবং বাহির থেকে একটা রসের আদর্শও খাড়া করা চলতে পারে না,-কারণ সে যে সকলের চেয়ে উচুতে, তার ত কোন মাপকাঠিতেই নাগাল পাওয়া যাবে না । সে যে ব্ৰহ্মস্বাদ সহোদর, অন্য ভাললাগার সঙ্গে ত রসের কোন তুলনা হতে পারে DD S S DDBS SDDDKBD DDDS DBDDD S sSBLSBBB BDOS KBB S কাজেই সেখানে ভাললাগার সঙ্গে একটা মন্দালগাও রয়েছে, কিন্তু কাব্যের রসের মধ্যে কোন মন্দলাগা নেই। এখানে সর্বদাই স্বৰ্গমন্দাকিনীর রসনির্বর উচ্ছসিত হচ্ছে। তাতে আমাদের দৈনিক পানাবগাহিনের প্রয়োজন সিদ্ধ হয় না, এবং এই জন্য তাকে আমরা এমন বিশেষ করে আনন্দময় বলে', আর সবরকম আনন্দ বা ভাললাগার থেকে স্বতন্ত্র আসনে বসাতে পারি। কবি এ বিশ্বাসে এতই দৃঢ়প্ৰতিষ্ঠ যে, সহস্ৰ আঘাত করলেও তিনি ফুলের মুচুকি হাসিতে তার উত্তর দিয়ে থাকেন, কখনও কৈফিয়ৎ, দেন না।