পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৪৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

২য় বর্ষ, একাদশ সংখ্যা আৰ্যসভ্যতার সহিত বঙ্গ-সভ্যতার যোগাযোগ ৭২৯ আৰ্য্যত্ব অপ্ৰমাণ হয় না। কেননা নৃতত্ত্ববিদেরা অদ্যাবধি এমন কোনও মাপকাঠি নিৰ্ম্মাণ করতে পারেন নি। যার সাহায্যে কোনও জাতির বংশনিৰ্ণয় করা যেতে পারে। অপরপক্ষে ভাষার প্রমাণ যদি গ্ৰাহ হয় তাহলে আমরা স্বীকার করতে বাধ্য যে, বাঙ্গালীজাতি মূলতঃ আৰ্য্যজাতি। বাঙ্গলাভাষা যে আৰ্যভাষা। এ বিষয়ে দ্বিমত নেই। বর্তমান বাঙ্গালীজাতির যে অনাৰ্য্যদের সঙ্গে রক্তের সম্পর্ক আছে। এ সত্য অস্বীকার করা যায় না- এবং তা অস্বীকার করবার কোন ও আবশ্যকতা নেই। কেননা ভারতবর্ষে এমন কোনও জাতি নেই-যাদের শিরায় অনাৰ্য্য রক্তের লেশমাত্র ও নেই। একালের দ্বিজমাত্ৰেই যে খাটি আৰ্য্য এবং অ-দ্বিজ মাত্রেই যে খাঁটি আনাৰ্য্য এরূপ বিশ্বাসের মূলে কোনও বৈধ কারণ নেই। পুরাকালে বহু আৰ্য্য যে দ্বিজত্ব-ভ্ৰষ্ট হয়েছিলেন এবং বহু অনাৰ্য্য যে দ্বিজত্ব-লাভ করেছিলেন সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। সত্য কথা এই যে, আমরা ভারতবর্ষীয় হিন্দুরা সামাজিক হিসেবে যে-যাই হই, শারীরিক হিসেবে সবাই বৰ্ণসঙ্কর। এ সত্ত্বেও আমরা যে আৰ্য্যসভ্যতার যথার্থ উত্তরাধিকারী এবং আমাদের স্বধৰ্ম্ম যে আৰ্য্যধৰ্ম্ম এ কথা নিৰ্ভয়ে বলা যেতে পারে। সভ্যতা হচ্ছে মনের বস্তু। সুতরাং এ কথা যদি সত্যও হয় যে, প্ৰাচীন আৰ্যদের সঙ্গে বাঙ্গালীর রক্তের সম্পর্ক এক পাই, তাহলেও আৰ্যসভ্যতার সঙ্গে বাঙ্গালী-হিন্দুর মনের সম্পর্ক পোনেরোঅনা-তিন-পাই । অতএব আমাদের পক্ষে আৰ্য্যত্বের দাবী করা BB DBS BDDB BBB SDDDS S DDD S DBD BDD ভীরা, আৰ্যভাষা আৰ্যধৰ্ম্ম আৰ্য আচার এবং আৰ্যজ্ঞানের অধীনতা