পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२व्र दर्श्व, द्यांत्रिं ग६९ छौगन् ङ VO তারা যে কেবলমাত্র সহৃদয়ত ও ঔদাৰ্য্যের অভাব দেখাইতেছেন তাহা নহে তারা ভীরুতার পরিচয় দিতেছেন। পৃথিবীর অধিকাংশ অন্যায় উপদ্রব ভয় হইতে ; সাহসী হইতে নয়। উপসংহারে আমি এই কথা কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে স্মরণ করিতে অনুনয় করি। যে-বিদ্যালয়ে ইংরেজ অধ্যাপকের কাছে বাঙালী ছাত্রের শিক্ষালাভ করিতেছে সেই বিদ্যালয় হইতে নবযুগের বাঙালী যুবক ইংরেজ-জাতির পরে শ্রদ্ধা ভক্তি গ্ৰীতি বহন করিয়া সংসারে প্রবেশ করিবে ইহাই আশা করিতে পারিতাম । যে-বয়সে যে-ক্ষেত্রে নূতন নুতন জ্ঞানের আলোকে ও ভাবের বর্মণে ছাত্রদের মধ্যে নবজীবনের প্রথম বিকাশ ঘটিতেছে সেই বয়সে ও সেই ক্ষেত্রেই ইংরেজ গুরু। যদি তাহদের হৃদয়কে প্রীতির দ্বারা আকর্ষণ করিতে পারেন তবেই এই যুবকেরা ইংরেজের সঙ্গে ভারতবাসীর সম্বন্ধকে সজীব ও সুদৃঢ় করিয়া তুলিতে পরিবে । এই শুভক্ষণে এবং এই পুণ্যক্ষেত্রে ইংরেজ অধ্যাপকের সঙ্গে বাঙালী ছাত্রের সম্বন্ধ যদি সন্দেহের, বিদ্বেষের ও কঠিন শাসনের সম্বন্ধ হয়, তবে আমাদের পরস্পরের ভিতরকার এই বিরোধের বিষ ক্রমশই দেশের নাড়ির মধ্যে গিয়া প্ৰবেশ করিবে, ইংরেজের প্রতি অবিশ্বাস পুরুষানুক্রমে আমাদের মজ্জাগত হইয়া অন্ধসংস্কারে পরিণত হইতে থাকিবে । সে অবস্থায় বাংলা দেশের রাষ্ট্রশাসন-ব্যাপারে জঞ্জাল কেবলি বাড়িতে থাকিবে বলিয়া বে আশংকা তাহাকেও আমি তেমন গুরুতর বলিয়া মনে করি নাআমার ভয় এই, যে, ইংরেজের কাছ হইতে আমরা যে-দান দিনে দিনে আনন্দে গ্ৰহণ করিতে পারিতাম সে-দান প্ৰত্যহ