পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৩৮৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

s3 «ቑ, ማበሻሣ ኻgግ}i bाम-छेब्राझि कक्षा W তাতে আমার বুক চেপে ধরলে, গায়ে কঁাটা দিলে। এ-দেশের মেঘলা দিনের এবং মেঘলা রাত্তিরের চেহারা আমরা সবাই চিনি ; কিন্তু এ যেন আর-এক পৃথিবীর আর-এক আকাশ ;-দিনের কি রাত্তিরের বলা শক্ত । মাথার উপরে কিম্বা চোখের সুমুখে কোথায়ও ঘনঘটা করে নেই, আশে-পাশে কোথায়ও মেঘের চাপ নেই ; মনে হল যেন কে সমস্ত আকাশটিকে একখানি এক রঙা মেঘের ঘেরাটোপ পরিয়ে দিয়েছে এবং সে রঙ কালোও নয়, ঘনও নয় ; কেননা তার ভিতর থেকে আলো দেখা যাচ্ছে। ছাই-রঙের কঁাচের ঢাকনির ভিতর থেকে যে-রকম আলো দেখা যায় সেই-রকম আলো । আকাশ-জোড়া এমন মলিন, এমন মরা আলো আমি জীবনে কখনও দেখিনি। পৃথিবীর উপরে সে রাত্তিরে যেন শনির দৃষ্টি পড়েছিল। এ আলোর স্পর্শে পৃথিবী যেন অভিভূত স্তম্ভিত মুৰ্ছিত হয়ে পড়েছিল। চারপাশে তাকিয়ে দেখি, গাছ-পালা, বাড়ী-ঘর-দোর সব যেন কোন ও আসন্ন প্রলয়ের আশঙ্কায় মরার মত দাড়িয়ে আছে ; অথচ এই আলোয় সব যেন একটু হাসছে । মড়ার মুখে হাসি দেখলে মানুষের মনে যে-রকম কৌতুহলমিশ্ৰিত আতঙ্ক উপস্থিত হয়, সে রাত্তিরের দৃশ্য দেখে আমার মনে த* ரeே রকম কৌতুহল ও আতঙ্ক দুই একসঙ্গে সমান উদয় হয়েছিল । আমার মন চাচ্ছিল যে, হয় ঝড় উঠুক বৃষ্টি নামুক বিদ্যুৎ চমকাক বজ পড়ক, নয় আরও ঘোর করে আসুক-সব श्रकi८द्र ट्र6यः যাক । কেননা প্ৰকৃতির এই আড়ষ্ট দম-আটকানো ভােব আমার কাছে মুহূৰ্ত্তের পর মুহূৰ্ত্তে অসহ্য থেকে অসহ্য তার হয়ে &ठेछिन, অথচ, আমি বাইরে থেকে চােখ তুলে নিতে পাচ্ছিলুম না। —