পাতা:সবুজ পত্র (দ্বিতীয় বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/৭১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 R সবুজ পত্ৰ कॉर्डिक, भ७२२ ভারি উত্তেজনার সঙ্গে কিচিমিচি বাধিয়োচে ; বারান্দার সামনে দক্ষিণে খোয়-ফেলা রাস্তার দুইধারে সারি সারি। কাঞ্চন গাছ অজস্র গোলাপী ফুলের মুখরিতায় আকাশকে অভিভূত করে দিয়েছে ; অদূরে মেঠো পথের প্রান্তে শূন্য গোরুর १|tफ् िङ८* श्रृच्छ् তুলে মুখ থুবড়ে পড়ে আছে, তারই বন্ধনমুক্ত জোড়া গোরুর মধ্যে একটা, ঘাস খাচ্চে, আর-একটা রৌদ্রে শুয়ে পড়ে আছে, আর তার পিঠের উপর একটা কাক ঠোকর মেরে মেরে কীট উদ্ধার কারচে-তারামে গোরুটার চোখ বুজে এসেচে। আজ আমার মনে হল, বিশ্বের এই যা-কিছু খুব সহজ অথচ অত্যন্ত বৃহৎ আমি তারি স্পান্দিত বক্ষের খুব কাছে এসে বসেচি, তারই আতপ্ত নিশ্বাস ঐ কাঞ্চন ফুলের গন্ধের সঙ্গে মিশে আমার হৃদয়ের উপরে এসে পড়চে । আমার মনে হল, আমি আছি এবং সমস্তই আছে, এই দুইয়ে মিলে আকাশ জুড়ে যে সঙ্গীত বাজচে সে কি উদার, কি গভীর, কি অনিৰ্বাচনীয় সুন্দর। তার পরে মনে পড়ল, দারিদ্র্য এবং চাতুরীর ফাঁদে আটুকপড়া পধু ; সেই পষ্ণুকে যেন দেখলুম। আজ হেমন্তের রৌদ্রে বাংলার সমস্ত উদাস মাঠ বাট জুড়ে ঐ গোরুটার মত চোখ বুজে পড়ে আছে—কিন্তু আরামে নয়, ক্লান্তিতে, ব্যাধিতে, উপবাসে। সে যেন বাংলার সমস্ত গরীব রায়তের প্রতিমূৰ্ত্তি। দেখতে পেলুম পরম আচারনিষ্ঠ ফোটাকাটা স্থূলতনু হরিশকুণ্ডু। সেও ছোট নয়, সেও বিরাটু, সে যেন বঁাশবনের তলায় বহুকালের বদ্ধ পচা দীঘির উপর তেল সবুজ একটা অখণ্ড সরের মত এপার থেকে ওপার পৰ্য্যন্ত বিস্তৃত হয়ে ক্ষণে ক্ষণে বিষ বুদ্ভুদ উদগার করচে।