পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

no সবুজ পত্র জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৫ ক্রমশঃ কমবে। এর মূল্য দ্রুত কমাতে হলে উচ্চ শিক্ষার আরও প্রসার হওয়া আবশ্যক। আশুবাবুর আমলে যে বেশী ছেলে পাস হচ্ছিল তাতে দেশের অন্য কোনও উপকার হােক বা নাই হােক, শুধু পাস করা ছেলেই যে সুপাত্র এই ভুলধারনা অনেকটা দূর হচ্ছিল। যখন সকলে দেখবে যে অনেক পাস করা ছেলে উদরান্নের সংস্থানে অপারগ তখন লােকে উপার্জনক্ষম ছেলেদেরই সুপাত্র মনে করবে—তা তারা যে কোনও সদুপায়েই উপার্জন করুক না কেন। কতকগুলি লােক অবশ্য চিরকাল থাকবেন যারা কেবল বিদ্যা দেখেই কন্যার বিবাহ দেবেন, কিন্তু সাধারণতঃ কন্যার পিতা এইটুকু দেখবেন যে এমন পাত্রে মেয়ে দিচ্ছেন যে তার অমবস্ত্রের কষ্ট না হয়। ২। প্রচুর সংখ্যায় উপার্জনক্ষম সুপাত্রের সৃষ্টি এবং কেবলমাত্র কয়েকটা ব্যবসায়কে সম্মানের চক্ষে না দেখা। কৃষি বাণিজ্য ইত্যাদি অনেক ছেলেদের অবলম্বন করতে হবে, লােকেদের মন থেকে এ সব কাৰ্য্যের হীনতা সম্বন্ধে যে ভুলধারণা আছে তাহা অপসৃত করতে হবে, এবং তাদের দেখাতে হবে যে এ সব কাৰ্য যারা করে তাদের অন্নবন্ত্রের সংস্থান কেবলমাত্র পাসকরা ছেলে অপেক্ষা সহজে হয়। মােট কথা কন্যার পিতাদের জানতে হবে যে এ সব উপায়ে উপার্জন- কম ছেলেরাও সুপাত্র। ৩। সুপাত্রীর সৃষ্টি। আজকাল মুড়ী মিছরির এক দর। কি রকমের শিক্ষা মেয়েদের দেওয়া উচিত তা এ প্রবন্ধের আলোচ্য বিষয় নয়। কিন্তু যে কোনও শিক্ষাপ্রণালী অনুসৃত হ’ক না কেন মেয়েদের সুশিক্ষিত করা উচিত এবং সাধারণকেও এ বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া কর্তব্য যে ঐ সুশিক্ষিত পাত্ৰীগুলি অপেক্ষাকৃত সুপাত্রী, অতএব