পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১০৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুজ পত্র জ্যৈষ্ঠ, ১৩২৫ কথাগুলো নিতান্তই নিরর্থক। সা হত্যে দাদা মশাই-এর লম্বাই চৌড়াই ও যেমন নিষিদ্ধ, খোকা বাবুর চাঁদ ধরাবার আব্দার ও তেম্নি অচল। “অমৃতং বালভাষিতং” সাহিত্য-বিচারে এ কথা খাটে না। কারণ সাহিত্য ত “ভাষিত হয় না। আর, “শতংবদ, একং মালিখ” এ যুগ্ম অনুজ্ঞার যুক্তি-যুক্ততা সম্বন্ধে আশা করি সবাই নিঃসন্দেহ। সত্য এবং সতেজ অনুভূতির দ্বারা উদ্দীপ্ত না হলে সাহিত্যিক অভিব্যক্তি কখনো স্বাভাবিক বা হৃদয়গ্রাহী হতে পারে না। পঞ্চাশাের্ধ তৃতীয় পক্ষে যােড়ষীর পাণিপীড়ণ করে অলঙ্কারের শিঞ্জিনীতে প্রীতির অভিনন্দনের অভাব দূর করবার প্রয়াস যেমন নিতান্তই পণ্ডশ্রম, অনুভূতির পরশমনির অভাবে অভিজ্ঞতার ইট পাটকেল দিয়ে সাহিত্য-সৃষ্টির আশাও ঠিক তেম্নি বিড়ম্বনা। এ বিড়ম্বনার অবতারণা যারা করেন পাঠক-সাধারণের বিদ্যাবুদ্ধি সম্বন্ধে তাঁদের ধারণা নিশ্চয়ই খুব উচ্চ অঙ্গের নয়। এবং উক্ত আনাড়ি সম্প্রদায়কে কিঞ্চিৎ “আক্কেল দেবার অভিপ্রায়েই সাহিত্য সৃষ্টির নামে তারা নিত্য নূন “সাহিত্য-পাঠ” রচনা করে থাকেন। পরের অজ্ঞতাকে অবশ্য স্বীকাৰ্য, আর নিজের বুদ্ধিকে স্বতঃসিদ্ধ ধরে’ নিয়েই তাঁর সাহিত্যের ক্ষেত্ৰতৰ উদ্যানে মনােনিবেশ করেন। ফলে, তাদের অনায় দৃষ্টির সম্মুখে সাহিত্যের প্রসার স্বতঃই ক্ষুদ্র হয়ে পড়ে। “শিক্ষা” জিনিসটা অত্যন্ত দরকারী—তাতে আর সন্দেহ কি ? দেশ যাতে সুশিক্ষিত হয় ; দেশের লােকের মতিগতি রীতি-নীতি যাতে বিপথগামী না হতে পারে; দেশের স্ত্রীপুরুষ ছেলে বুড়ো সবাই যাতে স্বেচ্ছায় কর্তব্য পালনে উন্মুখ হয়ে ওঠে। কথায়, দেশের যেখানে যেমনটী হওয়া উচিত সেখানে ঠিক তেমনটী যাতে