পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১১৩

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ম বর্ষ, দ্বিতীয় সংখ্যা কথা শুনে লােকে চাই কি হাসতেও পারে, অতএব দেখা যাক এর স্বপক্ষে কি কি যুক্তি আছে। আমরা সকলেই জানি, আর্ট হচ্ছে সেই বস্তু যা প্রকৃতির হাতে নেই এবং যা মানুষে নিজের মন ও নিজের হাত, এ দুয়ের সহযােগে গড়ে তোলে। ইউক্লিড যা সব নিয়ে কারবার করেন তার কোন মুৰ্ত্তিই প্রকৃতির রাজ্যে কুত্রাপি কারও দৃষ্টিগােচর হয়নি। যে সরল রেখা হচ্ছে তার শাস্ত্রের অর্ধেক সম্বল, সে রেখা—এ বিশ্বে কোথায়ও নেই; আর এ পৃথিবীতে যেখানে ওরেখার সাক্ষাৎ পাবে সেখানেই বুঝতে হবে যে তা মানুষের হাতে গড়া। তারপর ত্রিভুজ চতুভুজ পৃথিবীতে নানা আকারের থাকলেও সম-ত্রিকোণ সম-চতুষ্কোণ প্রভৃতি প্রকৃতির ভাণ্ডারে আদপে নেই। ওসব আকার মানুষে আগে কল্পনা করে তারপরে রচনা করেছে। প্রকৃতি যা অসম্পূর্ণ রেখেছেন তাকে সম্পূর্ণ করাই মানুষের আসল কাজ। পৃথিবীতে যা আছে সে সব হচ্ছে আগাগােড়া বিষম । আর ইউক্লিড যেসব ত্রিকোণ চতুষ্কোণের মৰ্ম্মোদ্ধার করেছেন, সে সব হয় সম, নয় অসম, কিন্তু একটিও বিষম নয়। বিজ্ঞান খোঁজে fact অর্থাৎ বস্তুর স্বরূপ, কিন্তু আর্ট চায় তার সুরুপ। সুতরাং যা কুটিল, আর্ট তাকে সরল করে নেয়, যা বিষম তাকে সুষম করে নেয়—যা বিবাদী তাকে সম্বাদী, অনুবাদী করে নেয় ; এক কথায় সকল বিরােধের সমন্বয় করে’, তার সামঞ্জস্য ঘটায়। কথা যদি সত্য হয়, তাহলে শুধু আমি নই সবাই স্বীকার করতে বাধ্য যে ইউক্লিডের জ্যামিতি, আথেন্সের পার্থিননের মত, ফিডিয়াসের ভিনাসের মত একটি অপূর্ব ও অবিনশ্বর work of art। প্রত্যুদা- হরণের দ্বারা এর আর একটি প্রমাণ দিচ্ছি। হালে ইউক্লিড ভেঙ্গে