পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৩৭

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

নব-বিদ্যালয় । শ্ৰীযুক্ত রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর শ্রীচরণেষু। (c) আজ আমি শরীরচর্চা সম্বন্ধে নব-বিদ্যালয়ের প্রকরণ-পদ্ধতির কিঞ্চিৎ পরিচয় দেব। আগে থাকতেই বলে রাখি—এ পত্রে মুলের চাইতে টীকাভাষ্য ঢের বেশী হবে, কেননা শরীরের কথাটা এদেশে শুধু বিদ্যালয়ের কথা নয়-লােকালয়েরও কথা। ছেলেবেলায় যে ডাক্তারের ওষুধ খেয়ে আমরা মানুষ হয়েছি, তার ওষুধের প্রতি শিশির গায়ে, একালের অনেক ওষুধের শিশির গায়ে যেমন বড় বড় লাল হরফে poison ছাপানাে থাকে, তেমনি বড় আর তেমনি লাল হরফে ছাপানাে থাকত, “শরীরমাদ্যং খলু ধৰ্ম্মসাধনং”। এ বচন শাস্ত্রীয় কি উদ্ভট তা জানিনে, কিন্তু ঐ ক’টি কথা আমার মনের মধ্যে একেবারে লাল কালিতে ছেপে গিয়েছে, তার কারণ দশ থেকে চৌদ্দ বৎসর বয়েস পর্যন্ত, এই চার বৎসর ধরে ঐ বাক্যটি আমার চোখের সুমুখে প্রতিনিয়ত ছিল। “শরীরমাদ্যং খলু ধৰ্ম্মসাধনং”—এ ধৰ্ম্মজ্ঞান আজ দেশসুদ্ধ লােকের মনে জন্মেছে। তবে উক্ত ধর্মের সাধন-পদ্ধতি যে কি, সে