পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বৰ, তৃতীয় সংখ্যা নব-বিদ্যালয় ১৪৭ 1 এর ফলে তাদের নিরীক্ষণ করবার শক্তি, তুলনা করবার শক্তি, কল্পনা শক্তি, গড়বার শক্তি, রূপজ্ঞান, আকারের জ্ঞান, পরিমাণের জ্ঞান, মাত্রার জ্ঞান, সংখ্যার জ্ঞান, পরিপুষ্ট হয়ে ওঠে অধ্যাপক ফারিয়া বলেন যে, শিশুদের অবশ্য ও সব কাজ শেখানাে যায় না, সুতরাং তাদের কাদা দিয়ে আল বাঁধতে, ঘর তৈরি করুতে সম্পূর্ণ স্বাধীনতা দেওয়া কর্তব্য। সে ঘর তারা ক্রমান্বয়ে ভাঙ্গবে ও গড়বে-কেননা শিশুমাত্রেই অব্যবস্থিতচিত্ত। এ চিত্তকে ব্যবস্থিত করবার চেষ্টা যেমন ব্যর্থ, তেমনি ক্ষতিকর, কেননা এই সব বিরােধী মনােভাবের সংঘর্ষেই তাদের আত্মার প্রদীপ জ্বলে ওঠে। যারা ছােট- ছেলেদের এই ধুলোমাটির সংস্রব হতে আলগোছ করে, ভদ্রলােক করতে চান, অধ্যাপক ফারিয়া তাদের একটা সত্য স্মরণ রাখতে বলেন। সে হচ্ছে এই যে, এ পৃথিবীতে মাটি আর জল হচ্ছে ছােট ছেলের সবচেয়ে প্রিয় বস্তু। সুতরাং তাদের জল না ছুতে দিলে, ধুলো না নাড়তে দিলে, ও দুয়ে মিলিয়ে কাদা না করুতে দিলে, প্রিয়বস্তুর বিরহে তারা শরীর-মনে শুকিয়ে যায়। এ স্থলে বয়স্ক লোকদের জিজ্ঞাসা করা যেতে পারে যে, এ পৃথিবীতে মাটি ও জলের চাইতে মহামুল্য বস্তু আর কি আছে? মানুষের সকল কর্মের মূল উপাদান হচ্ছে ক্ষিতি আর অপ, সুতরাং শিশুরা এ পৃথিবীতে এসে প্রথমে তারই পরিচয় লাভ করতে ব্ৰতী হয়। ঐখান থেকেই তাদের জীবনব্রত-উদ্যাপনের ( ১৩ ) নব-বিদ্যালয়ের ছেলেদের কৃষিকৰ্ম্মও শেখানো হয়। মানুষের আদিম কর্মক্ষেত্র, কৃষকের ক্ষেত্র,-শিল্প-জীবির কারখানা নয়। সুতরাং ২০