পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৫৪

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

দু-দুবার। ছেলেবেলায় খিড়কী পুকুরের ঘাটের পাশে পাঁশগাদায় যে সব কচুগাছ জন্মাত তারি কচিপাতা ছিড়ে পুকুরের জলে চুবিয়ে নিয়ে যখন দেখতুম তার উপরে জলের দাগ একটুও ধরেনি তখন ভারী আনন্দ হােতে; কিন্তু বিবাহিত-জীবনের পানাপুকুরের মধ্যে মনটাকে দু-দুবার চুবিয়ে ধরেও আজ এই ৬০ বৎসর বয়সে তাকে ডেঙ্গায় তুলে নিয়ে যখন দেখি তার উপরে উক্ত জীবনের একটুও দাগ লেগে নেই, তখন ঠিক ছেলেবেলাকার মত আনন্দ হয় কিনা বলতে পারি না। আমার বয়স আজ ৬০ কি তার চেয়েও দু এক বছর বেশী হবে কিন্তু এখনও আমি নিজেকে যুবা বলে মনে করি। এই কথা আমি আমার একজন অন্তরঙ্গ বন্ধুর কাছে বলেছিলুম, তিনি ত হেসেই খুন, তারপর হাসির বেগটা একটু থামলে তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, “এ কেমন করে হতে পারে ? এই কি করে হতে পারার জবাব দেওয়াটাই শক্ত। আজও পাঠককে যে এর জবাব দিতে পারবাে বলে ত মনে হয় না তবে গল্পটী শেষ অবধি পড়ে তারা যদি আপনা হতে এর জবাব পেয়ে যান ত ভালই—নচেৎ নাচার। আমার প্রথমবার বিবাহ হয় গ্রামের মাইনর স্কুলের তৃতীয় শিক্ষক হরকালিবাবুর প্রথম কন্যা নীরদাসুন্দরীর সঙ্গে। ছেলে- বেলা থেকেই বিবাহ না করাটার উপর আমার কেমন একটা ঝোঁক