পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা দু-দুবার “তা কি করবো? আমার কোন কথা বলা কি উচিত? আমি মেয়ে মানুষ ভালমন্দ কি বুঝি বল।” “মদ খাওয়াটা ভাল কি মন্দ তা তুই বুঝিস নে; এ নূতন কথা বটে।” কি জানি কেন নীরদার কথাগুলাে সেদিন তত ভাল লাগলো না। যেটাকে এতদিন খাঁটী ভক্তির সুর বলে মনে হােতত, আজ কি জানি কেন তার মধ্যে নিরপেক্ষতার সুর মিশ্র হয়ে রয়েছে বলে কানে বাজতে লাগলাে। এই ঘটনার কিছু দিন পর এক দিন কোন দরকারে সুরেশবাবুদের বাড়ীতে তাকে ডাকতে গেছি—ইনি আমাদের ওখানের একজন পুরাণে উকিল। ইনিই আমাকে সুরাদেবীর মন্দিরের স্বর্ণার দেখিয়ে দিয়ে ছিলেন। সুরেশবাবুদের বাড়ীতে প্রবেশ করেই উঠান থেকে শুনতে পেলুম সুরেশবাবুর স্ত্রী তীব্র-স্বরে বলছেন—“দেখ অমন করে যদি ঢলাঢলি কর ত আমি সংসার করতে রিবাে না; ভেবে দেখ দেখি কি ছিলে আর কি হয়েছ; লােকে তােমাকে কত ভাল বলত, কত সুখ্যাতি করত আর এখন কি হয়েছ। তারপর মেয়েটা দিন দিন কলা গাছের মত বেড়ে উঠছে সেটা কি চোখ মেলে একবার দেখে। সংসারের খরচ দিন দিন কত বেড়ে উঠছে সে খবরটা কি রাখ? অমন করে সবাবি করলে শেষকালে ছেলেগুলোর হাত ধরে পথে গিয়ে দাড়াতে হবে যে।” এক একটা লােক থাকে তাদের গলা বেশ মিঠে কিন্তু আগাগােড়া বে-সর। এই সব লােকের গান ততক্ষণই ভাল লাগে যতক্ষণ না কোন যন্ত্রের সঙ্গে তাকে মিলিয়ে নেওয়া হয়। নীরদার ব্যবহারের