পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬২

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৫ নবুক ল আষাঢ়, ১৩৫ মধ্যে মিষ্টতা ছিল বটে কিন্তু তার মধ্যে সুর ছিল না আদবেই, তাই আজ যখন সুরেশবাবুর স্ত্রীর এই সুয়ে-বসান যন্ত্রের সঙ্গে তাকে মিলিয়ে নিলুম তখন তা খাপছাড়া বলে মনে হতে লাগলো। কথাগুলো তীব্র বটে কিন্তু কেমন অর রয়েছে, কেমন রেশওয়ালা আর নীরদার সেদিনকার কথাগুলো নরম বটে কিন্তু কত বেসুরা কত ফফা। মনের মধ্যে কোথায় যেন একটা অভাবের বেদনা বেজে উঠলো। এইটেকেই যে আমি খুঁজে আসছি। এইটেকেই যৌবন যে তার সুদৃঢ় বাহু দুটোকে বাড়িয়ে হাতড়ে হাতড়ে বেড়িয়েছে এতদিন ধরে, আর এইটেকে পায় নি বলেই যে তার যত অবসাদ যত বৈরাগ্য। বাড়ী ফিরলুম-রাত্রে নীরদা এসে যখন তার নির্দিষ্ট জায়গাটি দখল করে শুলো তখন মধ্যের ব্যাবধানটা চোখের সুমুখে সহসা যেন যােজন-ব্যাপী হয়ে দাড়ালাে। এ যে অনেক দূরের জিনিস, এ যে দু'কুল হারা নদীর পরপারের ঝাপসা গাছপালা ; ঘাটে তরীও ত নেই যে সেগুলােকে নিকটের জিনিস করে নিই।-আবেগ ভরে ডাকলুম-“নীরদা”। সেই দূর থেকে অনেক দূর থেকে এলােমেলো বাতাসে ভাসা আবছা উত্তর “কেন”? “কেন নয় নীরদা আগে বড় করে উত্তর দাও।” নীরা নীরব। “আমি মদ খেয়েছি, তুমি বকবে না নীরদা!” “কেন বেকবো * “কেন বেকবে?” তোমার স্বামী উচ্ছন্নয় যাবে আর তুমি তাকে