পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৬৫

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বর্ষ, তৃতীয় সংখ্যা দু-দুবার ১১ এমনি করে এই চড়া মনিবের হাতে আমাকে ১০টি বৎসর পূয়া- দমে থাকতে হয়েছিল নীরবে সমস্ত সহ্য করে। তারপর সেও একদিন চলে গেল অভাব রেখে দিয়ে মাথার উপরটাতে। সেখানটা সত্য সত্যই তার অভাবে বড় খালি খালি ঠেকতে লাগলো। অনেক দিন কয়েদের মধ্যে থেকে হঠাৎ স্বাধীনতা পেয়ে কয়েদীর যে অবস্থা হয় এও অনেকটা সেই রকম। আজও যৌবনের রত্নসিংহাসন তেমনি করেই খালি হয়ে পড়ে রয়েছে দেবীর অভাবে। ধূপ ধূনা দিনের পর দিন কেবল ছাই হয়েই মরছে সিংহাসনের চারিদিকে তার কুণ্ডলিকৃত সুগন্ধী ধূমরাশি ছড়িয়ে ছড়িয়ে। ঘণ্টা বাজছে, আরতী-প্রদীপ জ্বলে জ্বলে নিভে যাচ্ছে। পুষ্প-সম্ভার পুষ্পপাত্রে উন্মুখ হয়ে রয়েছে কার চরণ স্পর্শের মানসে। পায়ের সেবা আমার হয়ে গেছে—মাথার সেবাও মন্দ হয় নি কিন্তু বুকের সেবা আজও বাকী রয়েছে। হুকুম করবার সাধ আমার মিটেছে; হুকুম তামিল করবার সখও পূর্ণ হয়েছে; কিন্তু আব্দার শােনর সাধ আজও অপূর্ণ রয়ে গেছে। ঐবিশ্বপতি চৌধুরী।