পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/১৮

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

১৪ সবুজ পত্র বৈশাখ, ১৩২৫ আপনাকে জাল ও বিশ্ববাসীকে জানাল। তারপর ধীরে ধীরে হিন্দুর লীলার দিন ফুরিয়ে এল। জগন্মাতার দ্বিতীয় আহ্বান কোন্ এক নবীন জাতির অন্তরে গিয়ে বাজল।

হিন্দুকুশের পরপারে একি গুঞ্জন-ধ্বনি আজ শুনি। যবনিকার অন্তরাল হ'তে কত লক্ষ লােকের উৎসাহ-কলরব-প্রাণের হুঙ্কার আজ হিমাদ্রির বিরাট পঞ্জর ভেদ করে’, মৃদু গুঞ্জনের মতাে এপারের আকাশ বাতাসকে চঞ্চল করল। কাণ পাত—ঐ কি শােনা যায়- প্রবল কোলাহলের মধ্য হতে মাঝে মাঝে প্রবলতর হুঙ্কারে ধ্বনিত হচ্ছে—“লায় লা হায় আল্লা মহম্মদ রসুলাল্লা”! গহণ তিমিরাবৃত নিশীথের ব্যত্যাবিক্ষুব্ধ তরঙ্গ সংক্ষুব্ধ সিন্ধুর উর্মিমালার মতাে কোন্ নবীন জাতি আজ অদম্য প্রাণের বেগে আপনাকে আর আপনার মধ্যে ধরে রাখতে পাছে না। তাকে বেরুতে হবে-বেরুতে হবে আজ আকুল স্রোতস্বিনীর মতো—হিমাদ্রির বক্ষ বিদীর্ণ করে’-কানন কান্তার, পল্লী, নগরী, মরু, গিরি ভাসিয়ে নিয়ে—আপনারই প্রাণের বেগে-গতির আনন্দে-আনন্দের আতিশয্যে। ধীরে ধীরে গুঞ্জন- ধ্বনি স্পষ্ট হতে স্পষ্টতর হ’ল—আরও স্পষ্ট—আরও স্পষ্ট তারপর একদিন হিমাদ্রির বিরাট পঞ্চর ভেদ করে-অর্ধচন্দ্র আঁকা বিজয় বৈজয়ন্তী পতাকা উড়িয়ে-উম্মুক্ত-কৃপাণ লক্ষ লোক-জগত- পিতার নাম হুঙ্কার করতে করুতে সিন্ধুর তীরে তীরে শার্দ লের মতো দেখা দিল। কৃপাণে কৃপাণে সংঘাত হ'ল—শূলে শূলে সংঘর্ষ হ’ল-