পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২১

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

৫ম বর্ষ, প্রথম সংখ্যা ভারতবর্ষ “আমরা বণিক।” “তােমাদের পণ্য সম্ভার কি ?” “পণ্য আমাদের নূতন প্রাণের নবীন উৎসাহ-তরুণ হৃদয়ের অনন্ত দুর্নিবার আশা আকাঙ্খা—তপ্ত রক্তস্রোত-প্রবাহিত ধমণীর দুরন্ত কৰ্ম্ম- পিপাসা-ধরিত্রীর সন্তান আমরা-সপ্তসিন্দুর মানস-পুত্র আমরা।” হিন্দু মুসলমান বললে—“তােমাদের পণ্য আমরা জানি না। তাতে আমাদের কোন প্রয়ােজন নেই। তবে এ জগন্মাতার দেশ-সবার অবারিত দ্বার। এসো—তােমারও স্থানের অভাব হবে না।” বিদেশী বণিক তার পণ্য সম্ভার নিয়ে কূলে অবতরণ করল। মানব-সভ্যতার তৃতীয় পুরােহিত বৈশ্যবেশে এ জগন্মাতার কূলে বিশ্বমানবের মহালীলা প্রাঙ্গনে প্রবেশ করুল।

তারপর যখন রজনী প্রভাত হল তখন সেই বিদেশী বণিকের একদল চমৎকৃত হয়ে দেখছে যে তাদের অজ্ঞাতসারে-কখন তাদের লোহার তুলাদণ্ড সোনার রাজদণ্ডে পরিণত হয়েছে। এখন এই যে তিন মহাজাতি-এই যে হিন্দু মুসলমান ক্রিশ্চিয়ান —এই যে ব্রাহ্মণ ক্ষত্রিয় বৈশ্য—এই তিন মহাজাতিকে মন্থন করে কত হলাহলের পর কবে কোন্ অমৃত উঠবে তা কে জানে? তবে অমৃত যে একদিন উঠবেই সে-বিষয়ে কোন সংশয় নেই। শ্রীসুরেশ চন্দ্র চক্রবর্তী 1