পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২২০

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সবুই পত্র এবণ, ১৩২৫ গেলেই উপকার হবে। কাজেই শিশু যদি ত গিতে আপত্তি করে, তাহলে সে যে ব্যাদড়া ছেলে, সে বিষয়ে আর বিন্দুমাত্র সন্দেহ থাকে না। অতএব তখন তাকে ধরে বেঁধে জোর জবরদস্তি দুধ খাওয়ানাের ব্যবস্থা করা হয়। শেষটা সে যখন এই দুগ্ধপান ক্রিয়া হতে অব্যাহতি লাভ করবার জন্য মাথা নাড়তে, হাত-পা ছুঁড়তে শুরু করে—তখন ময়ী মাতা বলেন –“আমার মাথা খাও, মামুখ দেখে, এই ঢোক, আর এক ঢোক, আর এক ঢােক” ইত্যাদি। মাতার উদ্দেশ্য যে খুব সাধু সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই—কিন্তু এ বিষয়েও কোন সন্দেহ নেই যে, উক্ত বলাকওয়ার ফলে মা শুধু ছেলের যকৃতের মাথা খান, এবং ঢোকের পর ঢােকে তার মরামুখ দেখবার সম্ভাবনা বাড়িয়ে চলেন। আমাদের স্কুলকলেজের শিক্ষাপদ্ধতিটাও ঐ একই ধরণের। এর ফলে কত ছেলের সুস্থ সবল মন যে infantile liver-য়ে গতাসু হচ্ছে—তা বলা কঠিন। কেননা দেহের মৃত্যুর রেজিষ্টারি রাখা হয়, আত্মার মৃত্যুর হয় না। ( ৭ ) আমরা কিন্তু এই আত্মার অপমৃত্যুতে ভীত হওয়া দুরে থাক, উৎফুল্ল হয়ে উঠি। আমরা ভাবি দেশে যত ছেলে পাস হচ্ছে তত শিক্ষার বিস্তার হচ্ছে; পাস করা ও শিক্ষিত হওয়া যে একবস্তু নয়, এ সত্য স্বীকার করতে আমরা কুষ্টিত হই। শিক্ষাশাস্ত্রের একজন জগদ্বিখ্যাত ফরাসী শাস্ত্রী বলেছেন যে, এক সময়ে ফরাসীদেশে শিক্ষা-পদ্ধতি এতই বেয়াড়া ছিল যে, সে যুগে France was saved by her idlers;