পাতা:সবুজ পত্র (পঞ্চম বর্ষ) - প্রমথ চৌধুরী.pdf/২৩৬

এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

শবণ, ১৩২৫ নব নব পথে আহ্বান করছে—তখন তারই রচিত সাহিত্যে একই রকমের রস, একই রকমের সুর, একই রকমের ভঙ্গী চিরন্তন করে রাখবার চেষ্টাটা যে কেবল বিজ্ঞান-সম্মতই নয় তা নয়—সেটা সহজ জ্ঞানসম্মতও নয়। বর্তমানের মানুষকে অস্বীকার করে যদি আমরা তার অতীতকেই বড় করে তুলি, তবে সামাজিক জীবনে যেমন আমাদের মিলেছে ভণ্ডামি-তেমনি সাহিত্যিক বা কবির কাছ থেকে আমাদের যা মিলবে সে হচ্ছে রসহীন ছোবড়া, আর কিছু নয়-বড় জোর শক্তিশালী যাঁরা তাঁদের হাতে গড়ে উঠবে চাকচিক্য- ময় প্রাণহীন প্রতিমা। কারণ মিথ্যা যেখানে, সেখানে মানুষ আনন্দ পেতে পারে না। আর যেখানে সে নিজে আনন্দ পায় না, সেখানে সে অপরকে আনন্দ দিতে কিছুতেই পারে না—মরে গেলেও নয়। সুতরাং আজ যাঁরা বৈষ্ণব-সাহিত্যকে আদর্শ করে তুলে, মনে করছেন যে তারা বাঙালী জাতিকে একটা মহত্ত্বের পথ দেখিয়ে দিচ্ছেন--তারা প্রকৃতপক্ষে বাংলার সাহিত্যিকদের একটা মস্ত মিথ্যা পণই দেখিয়ে দিচ্ছেন। এঁদের একটা কথা মনে রাখা উচিত যে, যেটা চলে আসছে সেটাই যদি চিরকাল চলে আসে, তবে আজ যেটা চলে আসছে সেটাও চলে আসতে পারত না। ( 8 ) এই সব কথা মনে করেই আমরা বাংলার নবীন ও তরুণ যাঁরা তাদের আজ এই একটা সাবধানের ইঙ্গিত করা কর্তব্য বলে মনে করছি যে, তাদের মধ্যে যাঁরা বীণাপাণির মন্দিরে আপনার জীবনের